কলাপাড়ায় নববধুর মৃতদেহ নিখোঁজের ৮ দিন পর উদ্ধার করলো পুলিশ

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়ায় নিখোঁজের ৮ দিন পর স্বামীর বাড়ির পাশের ধানী জমি খুঁড়ে গৃহবধু চম্পা বেগমের (৩২) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার চাকামইয়া ইউনিয়নের গামরবুনিয়া গ্রামের একটি বিল থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুপ দাসের উপস্থিতিতে কলাপাড়া থানা পুলিশ ওই লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী বাবুল হাওলাদারসহ বাড়ির সকল সদস্য পলাতক রয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

পুলিশ ও নিহত চম্পা’র স্বজনদের সূত্রে জানাগেছে, চাকাইময়া ইউনিয়নের গামরবুনিয়া গ্রামের কাদের হাওলাদারের ছেলে বাবুল হাওলাদারের সথে গত ১ জানুয়ারি পাশ্ববর্তী তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কলারং গ্রামের চান মিয়া সিকদারের একমাত্র কন্যা চম্পার সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে বাবুল হাওলাদার নববধু চম্পাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর থেকে চম্পা নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ১৪ জানুয়ারি তালতলী থানায় চম্পার পিতা একটি সাধারণ ডায়েরী করে। চম্পা নিখোঁজ থাকার আট দিন পর বুধবার স্থানীয় গ্রামবাসী বিলে গরু চড়াতে গিয়ে শিয়াল-কুকুড়ে মাটি খুড়ে ফেলায় চম্পার মরদেহের অস্তিত্ব দেখতে পায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে কলাপাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

নিহত চস্পা’র পিতা মো.চান মিয়া সিকদার বলেন, তার একটি মাত্র কন্যার সুখ শান্তির চিন্তা করে বাবুল হাওলাদারের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। ববুল হাওলাদার ও তার পরিবারের সদস্যরা তার কন্যাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়েছে। এঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করেন তিনি।

চাকামাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন করিব কেরামত বলেন, গৃহবধূকে হত্যার ঘটনা একটি জঘন্যতম কাজ হয়েছে। আমি পুলিশকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করবো নববধু হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য।

কলাপাড়া থানার ওসি মো.মনিরুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার মজিবরের সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।