গ্রাহকের আস্থা অর্জন করে এগিয়ে যাচ্ছে যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের চতুর্থ প্রজন্মের বীমা কোম্পানি গুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের ১০ জন শীর্ষস্থানীয় শিল্প উদ্যোক্তার সমন্বয়ে গঠিত যমুনা লাইফে রয়েছে একটি সুসংগঠিত পেশাদার পরিচালনা পর্ষদ। ২০১৪ সালের ২০ মার্চ কোম্পানি তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে।

কোম্পানির পৃষ্ঠপোষক হিসাবে আছেন প্রাক্তন সাংসদ সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। গাজী গ্রুপের কর্ণধার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ গোলাম দস্তগির গাজী (বীরপ্রতীক) ও ফেবিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও সাংসদ মোঃ তাজুল ইসলাম।

কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব বদরুল আলম খান, যিনি গাজী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর একজন সম্মানিত পরিচালক এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের পুত্র কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ (CBCCI) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব সাবেদ উর রহমান। পরিচালক হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের পুত্র মোঃ মাইদুল ইসলাম, পরিচালক পদে আরও আছেন সিআইপি মরহুম মুসা মিয়ার সহধর্মিণী বুলবুল জয়নব আক্তার, তিনি কুলিয়ারচর গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ এর চেয়ারম্যান ।

কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব কামরুল হাসান খন্দকারের নেতৃত্বে সুদক্ষ ও পরিশ্রমী উন্নয়ন কর্মী, সুশিক্ষিত ও দক্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা পর্ষদ কোম্পানির সম্মানিত পলিসি হোল্ডারদের সেবায় সার্বক্ষণিক নিয়োজিত। যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড সর্বদা গ্রাহকের প্রত্যাশা পূরণের সাথে প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বদ্ধ পরিকর।

গ্রাহক দিনের যে কোন সময় কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইন থেকে মোবাইল ব্যাংকিং, ব্যাংক ট্রান্সফার ও ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে প্রিমিয়ামের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া বিকাশ ডাচ বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং এবং কোম্পানি তালিকাভুক্ত ব্যাংক এর মাধ্যমে গ্রাহক তার প্রিমিয়ামের টাকা প্রদান করতে পারবে। যমুনা লাইফের ভেরি ফাইড ফেইসবুক পেইজ এর মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি কোম্পানির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পারেন। জাতীয় উৎসব, প্রথম প্রিমিয়াম প্রদানের শুভেচ্ছা, পরবর্তী প্রিমিয়াম প্রদানের তারিখ, নবায়ন প্রিমিয়াম প্রদানের তারিখ এবং গ্রাহকের জন্মদিনে কোম্পানি তার প্রতিটি গ্রাহককে শুভেচ্ছা ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি খুদে বার্তা (sms) এর মাধ্যমে প্রদান করে থাকে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ প্রমাণাদি দাখিল সাপেক্ষে যমুনা লাইফ (০৩) তিন দিনের মধ্যে মৃত্যু দাবি পরিশোধ করার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। বীমা দাবী পরিশোধ ও ব্যবসায়িক সফলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিমিটেড। খরচ নিয়ন্ত্রন, দ্রুত বীমা দাবী পরিশোধসহ বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে কোম্পানীটি।

যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমেছে এবং কোম্পানীর লাইফ ফান্ডও নেগেটিভ থেকে পজিটিভ পর্যায়ে এসেছে। কোম্পানীর লাইফ ফান্ড প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩৬.০৮ শতাংশ। ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমেছে ৬৮.৩৫ শতাংশ।

২০২২ সালে যমুনা লাইফের মোট প্রিমিয়াম আয় ছিল ২৬.৯৫ কোটি টাকা। বিপরীতে ব্যয় ছিল ২৩.৫৪ কোটি টাকা। অর্থ্যাৎ ব্যবস্থাপনা ব্যয় ছিল ৮০.৩৪ শতাংশ।

২০২৩ সালে যমুনা লাইফ মোট প্রিমিয়াম আয় করেছে ৩৩.১৯ কোটি টাকা বিপরীতে ব্যয় করেছে ২৪.২৩ কোটি টাকা। কোম্পানীটি ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে মোট প্রিমিয়ামের ৭৩.০০ শতাংশ।

এই হিসাব অনুযায়ী ২০২২ এর তুলনায় ২০২৩ সালে যমুনা লাইফের ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমেছে ১৬.৪১ শতাংশ, যা খুবই আশাব্যঞ্জক। ২০১৪ সালে কার্যক্রম শুরু করা কোম্পানীটি মূলত ২০২০ সাল থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলভাবে ঘুরে দাড়ানোর প্রচেষ্টা শুরু করেছে।

২০১৯ সালে কোম্পানীটির মোট ব্যবসা ছিল ৯.৯২ কোটি টাকা। ২০২০ সালে মোট ব্যবসা ছিল ১১.৩৩ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির হার ১২.৪২ শতাংশ। ২০২১ সালে মোট ব্যবসা ছিল ১৫.১৯ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির হার ২৫.৪৬ শতাংশ। ২০২২ সালে মোট ব্যবসা ছিল ২৭.০০ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির হার ৪৩.৭২ শতাংশ। ২০২৩ সালে মোট ব্যবসা ৩৩.১৯ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির হার ১৮.৬৬ শতাংশ।

এছাড়াও ২য় বর্ষ নবায়ন প্রিমিয়ামের হার বেড়েছে ৭.৫১ শতাংশ। ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমায় সংগৃহীত প্রিমিয়াম ও বিনিয়োগ আয় থেকে বীমা দাবী পরিশোধ করার পরে লাইফ ফান্ডে নতুন তহবিল যুক্ত হয়েছে ৮৩ লক্ষ টাকা। কোম্পানীটির মোট বিনিয়োগ আছে ১৫.৫০ কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকারী খাতে বিনিয়োগ আছে ১১.৫০ কোটি টাকা অর্থ্যাৎ মোট বিনিয়োগের ৭৪.৯৯ শতাংশ।

বীমা দাবী পরিশোধের ক্ষেত্রেও যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর সফলতার সাথে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। ২০২৩ সালে মৃত্যুদাবী ছিল ১৭টি পরিশোধ হয়েছে ১১টি। যার পরিমাণ ১৬.০৪ লক্ষ টাকা। এসবি, স্যারেন্ডার ও মেয়াদোত্তর বীমা দাবী উত্থাপিত ছিল ৩৯৪টি, বিপরীতে দাবী পরিশোধ হয়েছে ৩৮৮টি, টাকার পরিমাণ ছিল ২.৩৪ কোটি টাকা। গ্রুপ স্বাস্থ্যবীমা ও জীবন বীমার দাবী উথাপিত হয় ৪,৯৪২টি। বিপরীতে দাবী পরিশোধ করা হয় ৪,৩৮৬টি। টাকার পরিমাণ ছিল ৪.৫৬ কোটি টাকা।

২০২৩ সালে যমুনা লাইফ মৃত্যুদাবী, সারভাইভল বেনিফিট, মেয়াদোত্তর, সমর্পন, গ্রুপ স্বাস্থ্য ও জীবন বীমায় মোট দাবী উত্থাপিত হয় ৫,৩৫৩টি। বিপরীতে দাবী পরিশোধের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয় ৪,৭৮৫টি অর্থ্যাৎ দাবী পরিশোধের হার ৮৯.৩৯ শতাংশ। অপরিশোধিত বীমা দাবীগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অন্যদিকে, যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা সুবিধা প্রদান শুরু করে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হাজী মোহাম্মদ দানেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মিলে প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীদের বীমার আওতায় স্বাস্থ্য ও জীবন বীমা সুবিধা দিচ্ছে যমুনা লাইফ। আরো জানা যায় বাংলাদেশের স্বনামধন্য যমুনা ব্যাংক এর সম্মানিত ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারগণের safety net insurance plan চলমান রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির চীফ মার্কেটিং অফিসার (CMO) এস এম শামছুউদ্দীন ” দৈনিক এই আমার দেশ”কে বলেন, ১০ বছরে কোম্পানিতে প্রায় ৬৫,০০০ গ্রাহক তৈরী করতে সক্ষম হয়েছি এবং প্রায় ৮৫০০ কর্মী ও কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন। ২০২৪ সালে আরও ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বাংলাদেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করে সাংগঠনিক কাঠামোকে আরো শক্তিশালী করে ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ পূরণের আসা ব্যক্ত করেন। সেই সাথে আরো বলেন সম্মানিত গ্রাহকদের দ্রুত সকল ধরনের সার্ভিস প্রদান করে আসছে যমুনা লাইফ যথারীতি।

‘সাধারণ মানুষের আস্থা এবং নির্ভরতার প্রতীক হতে চায় যমুনা লাইফ’ এমন দাবী করে প্রতিষ্ঠানটির সিইও কামরুল হাসান খন্দকার বলেন, ‘‘এদেশে এখনো বহুলাংশে মানুষ জীবন বীমার আওতায় আসেনি। জীবন বীমাকে সামাজিক ও পারিবারিক আর্থিক নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতে সুহৃদ সাথী হিসেবে ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। এতে অচিরেই দেশে জীবন বীমার পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে, আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। ’’

এ বিষয়ে যমুনা লাইফের চেয়ারম্যান বদরুল আলম খান বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য উন্নত গ্রাহকসেবা। দেশের জনগণের মধ্যে জীবন বীমার সুফল ছড়িয়ে দিতে হবে। গ্রাহকের বীমা দাবী পরিশোধ এবং ব্যবসায়ীক সফলতার মধ্যদিয়ে দেশের শীর্ষ জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি। গ্রাহকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় তৈরীর মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রেখে ব্যাপক জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে যমুনা লাইফ। ২০২৫ সালে কোস্পানিকে আইপিওতে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন। ’’

দৈনিক এই আমার দেশ নিউজ এর তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় যে এ কোম্পানিটির সারভাইবাল বেনিফিট, মৃত্যুদাবী ও মেয়াদোত্তর দাবী দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করায় গ্রাহকের নিকট আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।