মসজিদের মাইকে লোক ডেকে সুনামগঞ্জ-হবিগঞ্জ সংঘর্ষ, আহত ৩০

নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শ্যামারগাঁও ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাগাউরা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

রবিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির সূত্র ধরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবিয়ানা নদীতে মাছ ধরা নিয়ে শ্যামারগাঁও গ্রামের সবুজ মিয়া ও বাগাউরা গ্রামের সুমন মিয়ার মধ্যে বাদানুবাদ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গ্রামবাসী। পরে জগন্নাথপুর ও নবীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। এর মধ্যে সাজ্জাদ মিয়া (২৮), ফরুক মিয়া (৩২), সবুজ মিয়া (২৬), হবেজুল মিয়া (৩৬), বাচ্ছু মিয়া(২৮), মজমুল মিয়া (২২), রাজা মিয়া (২৫), সেলিম মিয়া (২৮), ছানাওর মিয়া (২৪) ও রহিম উদ্দিন (৩৩) গুরুতর আহত হন। তাদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া, আহত বাকিদের জগন্নাথপুর ও নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ফতু মিয়া বলেন, ‘‘মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’’

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। দুই পক্ষের আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’