তিন দিনের ব্যাবধানে আ”লীগের ২জন নির্বাচিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মৃত্যু

মোস্তাফিজুর রহমান লালমনিরহাটজেলা প্রতিনিধিঃলালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিউল আলম রোকন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)।সোমবার (২৪ আগস্ট) সকালে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।মরহুমের পারিবারিক সূত্র জানায়, পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিউল আলম রোকন দীর্ঘ দিন ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যা ভুগছেন। ইতিপূর্বে তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রপাচার করে রিং বসানো হয়। এরপর কিছুটা সুস্থতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। শনিবার (২২ আগস্ট) হঠাৎ শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থতা অনুভব করলে চেয়ারম্যান শফিউল আলমকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ আসে তার। সোমবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।চেয়ারম্যান শফিউল আলম রোকন হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান মৃত মজিবর রহমানের ছেলে এবং পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি সীমা আক্তারের শ্বশুর। আওয়ামী পরিবারের এ জনপ্রতিনিধি মৃত্যুকালে স্ত্রী ও চার ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। অপর দিকে  উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান (৮০) মারা গেছেন। শুক্রবার (২১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।আতিয়ার রহমান দীর্ঘদিন হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তবে দুই দিন আগে তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আতিয়ার রহমানের ছেলে হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বাবা সুস্থ হন। দুই দিন আগে তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।এর আগে গত ৫ আগস্ট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন আতিয়ার রহমান। তিনি হাতীবান্ধা উপজেলার ভেটেরিনারি চিকিৎসক ছিলেন। অবসর গ্রহণের পর গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার বাড়ি উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের মধ্য গড্ডিমারী গ্রামে। স্ত্রী, দুই ছেলে, চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন আতিয়ার রহমান।