টাঙ্গাইলে কোরবানির জন্য প্রস্তুত সুদর্শন ‘শাকিব খান’

আল-আমিন শেখ, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলে এবারের ঈদে কোরবানির জন্য প্রস্তুত সুদর্শন ‘শাকিব খান’। শান্ত প্রকৃতি ও সাদা রংয়ের হওয়ায় নাম রাখা হয়েছে ‘শাকিব খান’। শাকিব খান লম্বায় ৭ ফুট ‍আর ওজন প্রায় ৩১ মণ। বয়স ২ বছর ৭ মাস। শাকিব খান ফ্রিজিয়াম জাতের ষাঁড়। এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য তাকে প্রস্তুত করা হয়েছে। তাকে লালন-পালন করা হচ্ছে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের কলেজছাত্র তরুণ উদ্যোক্তা জোবায়ের ইসলাম জিসানের খামারে। এবার কোরবানির ঈদে শাকিব খানই উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি করেন জিসান।

জানা গেছে, ২ বছর ৭ মাস আগে তরুণ উদ্যোক্তা জোবায়ের ইসলাম জিসানের খামারেই জন্ম হয় শাকিব খানের। এরপর থেকে তাকে কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হচ্ছে। ষাঁড়টির নাম শাকিব খান ও বেশি বড় হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে তাকে দেখতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ এসে ভিড় করছেন। মাঝেমধ্যে ক্রেতারাও আসছেন ষাঁড়টি কিনতে। জিসান ষাঁড়টির দাম হাঁকিয়েছেন ১৩ লাখ টাকা।

শাকিব খানের মালিক জোবায়ের ইসলাম জিসান বলেন, ষাঁড়টি দেখতে সাদা। ষাঁড়টি খুবই শান্ত প্রকৃতির। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরামর্শক্রমে কোনো ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় খাবার খাইয়ে এটিকে লালন-পালন করেছি। এখন ষাঁড়টির ওজন হয়েছে প্রায় ৩১মণ। ষাঁড়টির দাম চাচ্ছি ১৩ লাখ টাকা। তবে আলোচনাসাপেক্ষে কিছু কম টাকায় বিক্রি করতে পারি।

তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সালের শেষের দিকে আমার পরিকল্পানায় তিনটি গাভী দিয়ে খামারটি শুরু করা হয়। বর্তমানে খামারে ২৫টি ষাঁড় ও গাভী রয়েছে। এদের মধ্যে ৬টি ষাঁড় এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারে শাকিব খান ছাড়াও প্রায় একই ওজনের আরো একটি ষাঁড় রয়েছে। তার নাম রাখা হয়েছে দিপজল। সেটা দেখতে কালো। ষাঁড় দুটির জন্মের পরপরই খামারের ম্যানেজার তাদের নাম রাখে শাকিব খান ও দিপজল। আমার অবর্তমানে বাবা শফিকুল ইসলাম খামারটি দেখাশোনা করেন। এছাড়াও খামারে একজন কর্মচারী রয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রৌশনী আকতার বলেন, জিসানের খামারে দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। আমরা ষাঁড়টিকে নিয়মিত দেখাশোনা করছি। উপজেলায় এই ষাঁড়টিই সবচেয়ে বড়।

বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, যাতে কোরবানির কোনো পশু চুরি হতে না পারে সেজন্য পুলিশের বিশেষ টহল দল তৎপর রয়েছে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারিও রয়েছে।