চুনারুঘাট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রোগী সাধারণ

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট হাসপাতাল নানান অনয়িমরে মধ্য দিয়ে চলছে। এখানে চিকিৎসা সেবা নাজুক পর্যায়ে পৌঁছার কারণে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চুনারুঘাট হাসপাতালের প্রয়োজনীয় ডাক্তার থাকার পরও নিয়মিত পাওয়া যায় ১/২ জনকে। এর মধ্যে অভিযোগ রয়েছে সরকারী দায়িত্ব পালন না করে মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাসমিনা আক্তার পলি দায়িত্বকালীন সময়ে বিভিনś ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চেম্বারে রোগী দেখেন। ফলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চুনারুঘাটের সাধারণ মানুষ। হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মোঃ মোমিন উদ্দিন চৌধুরী প্রায়ই লম্বা ছুটিতে চুনারুঘাটের বাইরে অবস্থান করেন। আরো অভিযোগ রয়েছে, কর্তব্যরত ডাক্তাররা প্রায় রোগীকেই সেবা না দিয়ে রেফার্ড করে দেন। ফলে বাড়তি কষ্ট পোহাতে হয় গরীব অসহায় রোগীদের। চুনারুঘাট উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ সম্পনেśর ১০ বছর পরও চালু করা হয়নি। হাসপাতালে ডাক্তার সংকটসহ নানা সমস্যা তো রয়েছেই। এ অবস্থায় চুনারুঘাটের মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জানা যায়, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকাররে আমলে চুনারুঘাটে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসপাতালের কাজ সম্পনś হয় ২০০৯ সালে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ভবনটি উদ্বোধন হয়নি। এদিকে হাসপাতালে ডাক্তার সংকট, কর্র্মকর্তা, কর্মচারী সংকট, দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ইতোর্পূবে ঊধর্źতন কর্তৃপক্ষের কাছে ৫০শয্যার হাসপাতাল চালুর প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, কর্তব্যরত ডাক্তাররা নির্দিষ্ট সময়ের আগে তাদের কক্ষ ত্যাগ করে চুনারুঘাট পৌর শহরের বিভিনś ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চেম্বারে রোগী দেখেন। ফলে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ী ফেরেন। ডাক্তাররা নানা অজুহাতে প্রায়ই ছুটিতে থাকেন বলে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজলো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচও ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগে কোনো ডাক্তার কক্ষ ত্যাগ করার কথা না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ মোঃ মুমিন উদ্দনি চৌধুরীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে “ঘন ঘন ছুটির ব্যাপারে তিনি বলেন, “আমি সরকারী ভাবেই ছুটিতে থাকি।” এভাবে ঘন ঘন ছুটিতে থাকলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে বলে সচেতন মহল মনে করেন।