কে হচ্ছেন চিফ হুইপ?

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০০৮ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চিফ হুইপ করা হয়েছিল উপাধ্যক্ষ আবুদস শহীদকে। মন্ত্রী পদমর্যাদার এই পদটিতে দ্বিতীয় মেয়াদে তাকে রাখা হয়নি। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সংসদে আসন গ্রহণ করলে চিফ হুইপ করা হয় আ স ম ফিরোজকে। এবার চিফ হুইপ কে হচ্ছেন তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা চলছে।

সাধারণত চিফ হুইপ এমন কাউকে করা হয় যিনি দীর্ঘদিন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং সংসদীয় কার্যক্রমে অভিজ্ঞ। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, ২০০৮ এর পর ২০১৪ সালে চিফ হুইপ পদে পরিবর্তন আসে। সেই ধারাবাহিকতা এবাবরও অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি। এবারও চিফ হুইপ পদে পরিবর্তন আসতে পারে।

চিফ হুইপ পদে দুইজনের নাম আলোচনায় আসছে। একজন হলেন নূর-ই-আলম চৌধুরী। তিনি জাতীয় সংসদের সাতবারের এমপি। তার বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে এবং তার সম্ভাবনাই বেশি। তার পাশাপাশি আলোচনায় আছেন সাবেক পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। তিনিও জামালপুর থেকে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। চিফ হুইপ করার ব্যাপারে তাকে নিয়েও আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে।

যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কোন আত্মীয়-স্বজনকে সরকারী কোন পদ-পদবী দিচ্ছেন না। আর সেটা যদি এখানেও অব্যাহত থাকে তাহলে নূরে আলম চৌধুরী বাদ পড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে মির্জা আজমের সম্ভাবনাই বেশি। তবে এর বাইরে অন্য কোন চমকও আসতে পারে চিফ হুইপ নিয়োগের ক্ষেত্রে।