কলাপাড়ায় পায়রাবন্দর-শের-ই-বাংলা নৌ-ঘাটি লালুয়ার একমাত্র সংযোগ সড়কটি মৃত্যুফাঁদে পরিনত

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি   ঃ   কলাপাড়ার লালুয়া
ইউনিয়নের বানাতি বাজার থেকে পায়রাবন্দরের শের-ই-বাংলা নৌঘাটিতে যাওয়ার
ইটের সড়কে খানা-খন্দ রয়েছে। কোথাও কোথাও ইট সড়ে গিয়ে কাঁচা রাস্তায় পরিণত
হয়েছে । সড়কটি সংস্কার না করার কারনে হাজার হাজার মানুষকে চড়ম দূর্ভোগ
পোহাতে হচ্ছে। এ নিয়ে গনমাধ্যমে কয়েকবার বাস্তব চিত্র তুলে ধরলে
কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করছে। অথচ অনতিবিলম্বে সড়কটির সংস্কার এখন
এলাকাবাসীর সময়ের দাবী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ধ্বংসযজ্ঞ ও বর্ষা-মৌসুমের
কারনে সড়কটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে
প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কটিতে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা
ঘটতে পারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নৌঘাটির লোকজন ছাড়াও সাউগারকান্দা, পশরবুনিয়া,
দশকানি, ছোনখলা, চড়পাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার লোক এ সড়ক দিয়ে
প্রতিদিন যাতায়াত করে। গ্রামের লোকদের যাতায়াতের প্রধান বাহন ভাড়াটে
মটরসাইকেল। এছাড়াও ব্যবসায়ীক বাহন হিসাবে ভ্যান গাড়ি ও ইঞ্জিন চালিত টমটম
(ভ্যান) চলাচল করে। যা এখন সড়কের দুরাবস্থার কারনে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে
পরেছে। এতে গ্রামের ছোট-বড় ব্যবসায়ীদের পণ্যবহনসহ জরুরী রোগী যাতায়াতে
চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। পশরবুনিয়া গ্রামের রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন,
দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারনে এখন
আরো খারাপ অবস্থা হয়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

লালুয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য লিটন সাউগার বলেন, সড়কটি
সংস্কারের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে । সড়কটিতে সামান্য কিছু
বরাদ্ধ হলেই মোটামুটি চলাচলের উপযোগী করা যাবে। সড়কটি সংষ্কারের জন্য
তিনি ব্যাক্তিগতভাবে আগেও অর্থায়ন করেছে এবারও কিছু সহযোগীতা করবেন বলে
সাংবাদিকদের জানান।

লালুয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস আক্ষেপ করে  বলেন, সড়কটি
নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। অদ্যাবদি কোন সুরাহা হয়নি। ক্ষুদ্র
বরাদ্ধ হতে এতো বড় সড়ক সংস্কার সম্ভব নয়।  ইউনিয়ন পরিষদ হতে দেড় লক্ষ
টাকার বরাদ্ধ দিয়ে কিছু কাজ করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা মহিলা ভাইস
চেয়ারম্যান শাহিনা পারভীন সীমা পরিষদ হতে একলক্ষ টাকার বরাদ্ধ দিয়েছে।
পাশাপাশি এনজিও আভাস নগদ কিছু অর্থ দিবে বলে সম্মতি দিয়েছে। সমষ্ঠিগতভাবে
দ্রুত সংষ্কার কাজ শুরু করা হবে বলে আশা করেন। সড়কটি সংস্কারের জন্য তিনি
যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।