সোনাদহে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

প্রতিনিধি, রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সোনাদহ গ্রামের তরুণী মান সম্মান হারিয়ে অবশেষে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন। এই
ঘটনায় বাড়িতে থেকে পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত ওই প্রেমিক। পরে ওই
তরুণী স্থানীয় এক চৌকিদারের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছিলেন।
আতœহত্যার হুমকি দেওয়ায় স্থানীয় চৌকিদার ডাবলুর বাড়িতে রাখা
হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার আগে অনশন শুরু করেন ওই তরুণী।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সোনাদহ গ্রামে।
শনিবার দুপুরে ওই গ্রামের চৌকিদার ডাবলুর বাড়িতে গিয়ে কথা হয়
তরুণীর সাথে। তার প্রেমিকের নাম মাসুদ রানা তান্নাহ। তাঁর বাড়ি
বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের সোনাদহ গ্রামে। সে রাজশাহী কলেজে
পড়াশুনা করে। তার বাড়িও একই উপজেলার সোনাদহের পাশের গ্রামে। লেখা
পড়া করে রাজশাহী সিটি কলেজে। প্রায় আড়াই বছর আগে তার সাথে
পরিচয় হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে
তোলেন। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পার্কে, বন্ধুর বাসায় ছাড়াও শহরের
আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে আচরন করেছে স্বামী-স্ত্রীর মতো।
সর্বশেষ কোরবানি ঈদের ৫-৬ দিন আগে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে
রাতে এলাকার মাঠের মধ্যে ডেকে নিয়ে একই ধরনের আচরন করেছে।
সেখানে ঈদের পরে কাবিন ও বিয়ে হবে বলে আমাকে জানায়। কিন্তু পরে সে
আর কথা রাখেনি। আমি বাধ্য হয়েই আমার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শুক্রবার
সন্ধ্যার আগে মাসুদ রানা তান্না’র বাড়িতে গিয়ে উঠি।’ সেখান
থেকে তার মা বাবাসহ অন্য আতœীয়রা আমাকে টানা হেচড়া করে বের করে
দেয়। তার দাবি, প্রেমের বিষয়টি দুজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তাই
সে ছাড়াও তার পরিবারের পক্ষ থেকেও বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে
একাধিকবার।
মাসুদ রানা তান্না’র বাড়িতে গিয়ে কাউকে না থাকায় কথা হয় তার
চাচা শফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, হঠাৎ করেই বাড়িতে আসার
পর পারিবারিকভাবে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে বোঝানো
হয়েছে। এতে রাজি না হলে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বরসহ
গন্যমান্য ব্যক্তিকে ডাকা হয়। তারা তরুণীর বাবাকে তার বাড়িতে নিয়ে
যাওয়ার কথা বলেছেন। মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করবেন না বলে
জানিয়েছেন তরুণীর বাবা রইশ উদ্দীন।

স্থানীয় মেম্বর সলিম উদ্দীন সরকার বলেন ,প্রথমে তরুণীর ফুফার জিম্মায়
দেয়া হয়েছিল। কিন্ত তারা রাখেননি। তাই চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা
করে চৌকিদারের বাড়িতে রাখা হয়েছে।
বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন,
মাসুদ রানা তান্নাহ পালিয়ে যাওয়ার কারণে এই ঘটনার মীমাংসা
শিগগিরই হচ্ছে না। মাসুদ রানা তান্নাকে’ পেলেই এ বিষয়ে তাঁর
বাড়ির লোকজনের সাথে কথা বলে সমাধান করা হবে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত আব্দুল ওয়াহাব প্রতিবেদককে
বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়েটি মামলা করলে আইন
অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।