হোমনার নিলখী স্বর্ণকারপাড়ায় প্রবাসীর ঘরে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগঃ ২ লক্ষ টাকার অধিক ক্ষতি

নিজস্ব  প্রতিবেদক ঃ কুমিল্লার হোমনায় এক প্রবাসীর ঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি শেষে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।গত ৯ জানুয়ারী শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের স্বর্ণকারপাড়ার সমাজ সেবক মো. আবুল কাশেমের ছেলে কাতার প্রবাসী মো. আজম খান ও হারুণ-অর রশিদের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে হোমনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তদন্ত শুরু করেন।প্রবাসী হারুণ অর রশিদের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হারুণ অর রশিদের দুটি বসতঘর। একটি বিল্ডিং ও একটি টিনের দু’চালা পুরনো বসত ঘর।প্রতিদিন হারুণের বাবা-মা পুরনো ঘরে থাকলেও তাদের স্ত্রীরা প্রসবজনিত কারণে শ্বশুরবাড়িতে চলে গেলে ঘটনার দিন রাতে তারা বিল্ডিং এ রাত্রি যাপন করেন।এসময় রাতের কোন এক প্রহরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা টিনের ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে এবং ঘরে থাকা ষ্টীলের আলমারী ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়।যাবার সময় আমারীতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রাধিসহ কাপড়-চোপরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে যায়। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি, কুড়াল, একটি দা ও ছুড়ি পাওয়া গেছে।প্রবাসী হারুনের বাবা আবুল কাশেমের নিকট ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রামে বা আশপাশে আমাদের কোন বিষয়ে কারো সাথে শত্রুতা নেই। তবে নিশ্চই ডাকাতরা কৌশল করতে চেয়েছিলো। তারা তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে আমাদের দামী জিনিসপত্র এবং কিছু টাকাসহ প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।হারুণের মা বলেন, আমাদেরকে খুন অথবা বড় ধরনের ক্ষতি করার জন্যই হয়তো ডাকাতরা এসেছিলো। কিন্তু আমরা বিল্ডিং এর ভেতরে থাকায় তারা আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই। তারা যেনো সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের বিচার করেন। আমরা এখন রাত হলেই দুঃশ্চিন্তায় থাকি।ঘটনার পর দেখতে আসা প্রতিবেশীরা জানায়, নেশাগ্রস্থ  একটি সিন্ডিকেটের দারা ই এ কাজ সম্ভব হবে। দুর্বৃত্তরা  হয়তো কাশেম মিয়া ও তার পরিবারের বড় কোন ক্ষতির জন্যই এসেছিলো। কিন্তু এখন তো আরো বিপদ কখন যে কি হয়ে যায়।এলাকাবাসী বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্তসহ সঠিক বিচারও দাবি করেন প্রশাসণের নিকট।হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল কায়েস আকন্দ সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং তদন্ত শেষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।4 Attachments