লিচুর মুকুলে ছেয়ে গেছে মঙ্গলবাড়িয়া

মাহফুজ রাজা,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ;
“লিচু কয় আমি লিচু,
আমার গুণ আছে কিছু,
সারারাত্রি বাদুড় দৌড়ায় আমার পিছু পিছু”
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাকুন্দিয়া পৌরসভার  ছোট্ট একটি গ্রামের নাম মঙ্গলবাড়িয়া। এ গ্রামের এমন কোনো কৃষকের বাড়ি নেই যেখানে অত্যন্ত চার পাঁচটি লিচু গাছ নেই। লিচুর চাষ করে এখানকার চাষীদের আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে।
জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রাম। এই গ্রামে লিচু চাষের প্রচলন ঠিক কত বছর আগে এবং কীভাবে শুরু হয়, এর সঠিক তথ্য নেই। স্থানীয়দের ধারণা, অন্তত শত বছর আগে এখানে লিচু চাষ শুরু হয়। আর এখানকার লিচু আসলে কোন জাতের তাও কেউ জানে না। গ্রামের নাম অনুসারে নামকরণ হয়েছে ‘মঙ্গলবাড়িয়া লিচু’।
মঙ্গলবাড়িয়ার লিচুর সুখ্যাতি রয়েছে এই অঞ্চলে। এই লিচু অত্যান্ত মিষ্ট এবং সুস্বাধু এই লিচু অন্যান্য লিচু থেকে সম্পর্ণ আলাদা কারণ তা বিছি একদম ছোট। পরিপূষ্ট মাংশাল থাকে এবং অনেক ছোট গাছে অতি তারা তারি লিচু আসে। দেশে বিদেশে এই লিচুর ভাল কদর রয়েছে।  এই এলাকার লোকজন লিচু বাগান বেশি করে লিচু ফলন খুবই ভাল হয়। বাড়ীর আঙ্গিনায় ক্ষেতের আইলে সব জায়গায় লিচু জন্মে। লিচুর সময় এই এলকায় আত্মীয় স্বজনের আনাগুনা বেড়ে যায়।
আনিস আহমেদ শিবলী বলেন,লিচু চাষ করে দেশে পরিচিতি পেয়েছে আমাদের এই মঙ্গলবাড়িয়া গ্রাম। চলতি মৌসুমে এই গ্রামের হাজার হাজার গাছে লিচুর ভালো ফুল হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে ভালো ফলন হবে।
এই গ্রামের অনেক চাষি লিচু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।
মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের লিচু প্রতি একশত লিচু ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয় গাছের সব লিচু বিক্রি শেষ হওয়ার পর আবার গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত হতে হবে।
জেলা ‍কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বলেন, মঙ্গলবাড়ি জাতের লিচু মানে ভালো। গ্রামের কৃষকরা এই জাতের লিচু চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে।