ভয়াবহ ২১ আগস্ট, স্পি­ন্টারের ব্যথায় রাতে ঘুমাতে পারিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: শরীরে স্পি­ন্টারের ব্যথার যন্ত্রণা নিয়ে আজও বেঁচে আছি। এ ব্যথা আর কষ্ট সহ্য করার মতো নয়। রাতে ঘুমাতে পারি না। শরীরে এখনও অসংখ্য স্পি­ন্টার রয়ে গেছে। শরীরে দু’বার অপারেশন করেছি।

সেদিনের ভয়াবহতার কথা মনে হলে এখনও আমার হৃদয় কেঁপে উঠে। আমি গুরুতর আহত হওয়ার পর বেঁচে যাব আমার পরিবারের কেউ মনে করেনি। অলৌকিকভাবে আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন।

আমি হাজারও কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। কারণ তিনিই আমাকেসহ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার কয়েকজনকে ঘটনার পরপর ভারতের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছিলেন। এরপর তিনি সেদিনের আহতদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

আমিও শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তা পেয়েছি।’ অনেক দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ভৈরবের মিরারচর গ্রামের মফিজ উদ্দিন মেম্বারের ছেলে আওয়ামী লীগকর্মী নাজিম উদ্দিন যুগান্তর প্রতিনিধির কাছে এ কথাগুলো বলেন। তিন সন্তান, স্ত্রী ও ভাই-বোন নিয়ে তার পরিবার।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সেদিন ২৪ জন নিহত ও কয়েকশ’ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আহত হয়েছিলেন। নাজিম উদ্দিন বললেন, ঘটনায় বিচারের রায় হলেও রায় বাস্তবায়ন জীবিতকালে দেখে যেতে চান।

সেদিনের ভয়াবহতার কথা বলতে গিয়ে আহত নাজিম উদ্দিন বলেন, বিকাল ৩টায় আমি ঢাকার জনসভায় পৌঁছি। জিল্লুর রহমান ও তার সহধর্মিণী ও আমার এলাকা ভৈরবে।

জনসভা শুরু হলে জিল্লুর রহমান ট্রাকের ওপর শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন। আইভী রহমান ট্রাকের সামনে মহিলাদের নিয়ে মাটিতে বসেছিলেন। আমি ছিলাম তার কাছে। আইভী রহমান পানি চাইলে আমি দোকান থেকে এক বোতল পানি এনে দেই।

এ সময় শেখ হাসিনা বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ কয়েকটি বিকট শব্দে জনসভা এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেল। এ সময় আমার শরীরে গ্রেনেডের স্পি­ন্টার পড়ে আমি গুরুতর আহত হই। পরে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।