কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সতর্কতামূলক ব্যানার

মাহফুজ রাজা,জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ;
প্রায় সকল অফিসপাড়া যেন এখন মধ্যস্বত্বভোগীদের (দালাল) দখলে। গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল গমনেচ্ছু মানুষগুলো প্রতি নিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছে এদের মাধ্যমে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অতর্কিত অভিযানে যদিও কিছু দালাল ধরা পড়ে তাও আবার আইনের ফাঁকে বেরিয়ে সেই কাজেই আবার মননিবেশ স্থাপন করছে। দালালদের খপ্পরে পড়ছে না এমন মানুষের সংখ্যাও অতি নগন্য। প্রতিদিন সরাসরি জনগণের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি অফিসগুলোতেই দালালদের যানজট। আর জট পেরিয়ে সরাসরি কাজ করা সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর বিষয়।
এরই মাঝে প্রতারণা রোধে কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট আফিস এক নতুন পদ্ধতি চালু করেছে। কেউ প্রতারণার স্বীকার হলে যেন সরাসরি যোগাযোগ করেন, এই বার্তা লিখে পাসপোর্ট অফিসের মেইন ফটকে ঢুকতেই চোখে পড়বে একটি ব্যানার। তাতে লিখা রয়েছে
 ” পাসপোর্ট সংক্রান্ত যেকোন হয়রানির শিকার হলে সহকারি পরিচালকের কক্ষ নং ২০১ এ” যোগাযোগ করুন। আরো লিখা আছে ” আপনাদের সেবায় আমার দরজা সবসময় খোলা” আনিসুর রহমান, সহকারি পরিচালক, ০১৬৭২-০৫২৫০৭”
জানা যায়, প্রতিটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করা যায়। কিন্তু সেখানে পাসপোর্ট করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা খুব একটা চোখে পড়ে না।
গত বছর ২২ জানুয়ারি/২১ ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৫৫ হাজার পাসপোর্ট কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ইস্যু হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার পাসপোর্ট এর অবেদনের পরিবর্তে। প্রায় ১০ হাজার পাসপোর্টের আবেদন ইস্যু হয়নি তথ্য গোপন, পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়া, নানাবিধ সংশোধনের কারণে যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্ট করতে আসা বিদেশগামী অল্প শিক্ষিত মানুষ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর প্রতারিত হচ্ছে। যেমন ৫ বছর মেয়াদি ২১ দিনে ইস্যুকৃত ৪৮ পাতার একটি ই-পাসপোর্টের নির্ধারিত মূল্য ৪০২৫ টাকা যা ১০ বছর মেয়াদি ৫৭৫০ টাকা। অপরদিকে ৫ বছর মেয়াদি ২১ দিনে ইস্যুকৃত ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্টের মুল্য ৬৩২৫ টাকা আর ১০ মেয়াদি ৮০৫০ টাকা। দালালদের ধূর্তপনায় ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পাতার জন্য টাকা নিলেও তা করে দিচ্ছে ৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পাতার।
কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, দালালদের কাছ থেকে পাসপোর্টধারিকে সতর্ক করতে আমরা ব্যানার মূল ফটকের ভিতরে সতর্কতামূলক ব্যানার সাটিয়ে রেখেছি যাতে যেকোন সমস্যায় আমার রুমে কিংবা ফোনে জানাতে পারে। জানালে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।