কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, আটক-৩

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে গতকাল সোমবার ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পর্যায়ক্রমে আগামী ৩ দিনে অবশিষ্ট ৩টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বি-ইউনিটে ৪ টি বিভাগ: কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং পরিসংখ্যান বিভাগ রয়েছে। ‘বি’ ইউনিটে ১৬০টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন পড়ে ৮,৯০৭টি। সকাল ১১টা থেকে বেলা ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১ম শিফট্ ও বেলা ২টা থেকে ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ২য় শিফট্ মিলে মোট দুই শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, ১ম শিফ্টে ৬,০৪৩ রোল নম্বর পর্যন্ত এবং ২য় শিফ্টে ৬,০৪৪ থেকে ৮,৯০৭ পর্যন্ত রোল নম্বরধারী পরীক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৯০১ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অর্থাৎ উপস্থিতির হার ছিল শতকরা প্রায় ৭৮ ভাগ।

পরীক্ষা শুরুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে ভিজিলেন্স টিম বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সুব্রত কুমার দে, কলা অনুষদের ডীনের প্রতিনিধি প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর, দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মুশাররাত শবনম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. নির্মল চন্দ্র সাহা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জনাব শফিকুল ইসলাম।

সকাল শিফ্টে পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগেই এহসান আহমেদ, পিতা: বছির আহমেদ বাড়ি:ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ’কে আটক করা হয় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বহন করায়। তার পরীক্ষার রোল ছিল ১০৪৫৭।
এছাড়া বিকাল শিফ্টে পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই একজন ভূয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ৫২তম ব্যাজের শিক্ষার্থী নওশিন সায়েরা উদরিন, পিতা: সাইফুল ইসলাম, বাড়ী: আকোয়া, ময়মনসিংহ। সে ফারহানা তাজমিম কণার পরীক্ষা দিচ্ছিল যার পরীক্ষার রোল ১৮৬৭৭। নওশিন সায়েরা উদরিন’কে নিয়ে আসে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের ২য় বর্ষের ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. হিল্লোল বিশ্বাস, পিতা: হারুনুর রশিদ, বাড়ি: মাগুরা। আটককৃত তিনজনকেই ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট সোপর্দ করা হয়।