রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহী পাটকল শ্রমিকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দিয়েছেন রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। সোমবার সকালে রাজশাহী জুট মিলের আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্নতা ঘোষণা করেন তিনি।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস উপেক্ষা করে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন, রাজশাহীর পাটকল শ্রমিকরা। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) তাদের আন্দোলন গড়ালো দ্বিতীয় দিনে।
দ্বিতীয় দিনে পাটকল শ্রমিকদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। রোববার রাতভর মিলের মূল ফটকে অবস্থানের পর সোমবার সকাল থেকে তারা নানান দাবি নিয়ে আবারও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন।
রাজশাহী পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি জিল্লুর রহমান জানান, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দাবি পূরণ না হওয়ায় গতকাল রোববার থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। ঘোষিত ১১ দফা দাবি আদায়ে এবার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন শুরু করা হয়েছিল। পরে দাবি মানার আশ্বাসে তা স্থগিত করা হয়। কিন্তু এখনো সেই দাবি মানার কোন প্রক্রিযা শুরু হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে তারা ফের আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় গত ১০ ডিসেম্বর দুপুর থেকে আন্দোলন শুরু করেন পাটকল শ্রমিকরা। পরে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার সরকারি আশ্বাসে গত ১৪ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
এদিকে, রাজশাহী পাটকলের মূল ফটকের সামনে কাঁথা-বালিশ নিয়ে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন পাটকল শ্রমিকরা। তবে শীতের কারণে পাটকল শ্রমিকদের অনেকেই ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও জানান এই শ্রমিক নেতা।
মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে দু’সপ্তাহ পর আবারও আন্দোলনে নেমেছেন রাজশাহীর পাটকল শ্রমিকরা। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার পর থেকে পাটকল ফটকের সামনে তারা জড়ো হন। বর্তমানে সেখানে বসেই তারা আন্দোলন করছেন।
জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, সরকারি- বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) সিদ্ধান্ত বাতিল, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ গ্রাচ্যুইটির টাকাসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহীর পাটকল শ্রমিকরা।