মুসলমানি দিতে গিয়ে নুনু কেটে ফেলেছে ‘ডাক্তার’

প্রতিবেদক

মুসলমানি দিতে গিয়ে নুনু কেটে ফেলেছে এলাকায় ‘ডাক্তার’ হিসেবে পরিচিত এক পল্লী চিকিৎসক।

জানাযায়, কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মো. জয়নাল আবেদীন নামে এক পল্লী চিকিৎসক মুসলমানি দিতে খৎনা করার সময় এক শিশুর পুরুষাঙ্গই (নুনু) কেটে ফেলেছেন। ৮ বছরের ওই শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দরিদ্র বাবা-মা এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে ঘুরছেন।

এদিকে পল্লী চিকিৎসক মো. জয়নাল আবেদীন আহত শিশুটির চিকিৎসায় সহযোগিতা ও অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে উল্টো মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে। তবে শিশুটির পরিবার কোনো ক্ষতিপূরণ চায় না। তারা চান এই হাতুড়ে চিকিৎসকের শাস্তি। যাতে করে এই হাতুড়ে চিকিৎসকের হাতে আর কোন মায়ের সন্তানের এমন অবস্থা না হয়।

মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালীর সিপাহীর পাড়ার মেসার্স ‘জাহেদ মেডিকো’তে গত ২৮ নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

শিশুর বাবা মো. মনজুর আলম জানান, ‘খৎনা করানোর সময় কাঁচি দিয়ে পুরুষাঙ্গের বড় অংশ কেটে ফেলেন ওই চিকিৎসক। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাতে কক্সবাজার শহরের প্রাইভেট হাসপাতাল ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওখানে ৩ দিন রাখার পরেও সন্তানের কোন উন্নতি না হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও ৩ দিন চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রামের’ই প্রাইভেট হাসপাতাল ‘এভার কেয়ার’ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই প্রাইভেট হাসপাতালে একদিন চিকিৎসা করানো পর আর খরচ চালাতে না পেরে বাড়ি ফিরে আসে। টাকার অভাবে এখন চিকিৎসা বন্ধের উপক্রম।’

শিশুটির বাবা আরও জানান ওই চিকিৎসক বলছেন, ‘যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন আর কিছু করার নাই। এ ব্যাপারে বেশি বাড়াবাড়ি করলে অপহরণ মামলা দিয়ে ফাঁসানো হবে।’

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, মো. জয়নাল আবেদিন সার্টিফিকেটধারী পল্লী চিকিৎসক নন। সে একজন ভুয়া হাতুড়ে ডাক্তার।

ঘটনার বিষয়টি পল্লী চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন , ‘শিশুটির পুরুষাঙ্গ ছোট থাকায় চামড়া কাটতে গিয়ে পুরুষাঙ্গের সামনের অংশ কেটে গেছে। উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুটি ভালো থাকবে।’

অসহায় পরিবারকে সহযোগিতার পরিবর্তে হুমকি দেওয়া হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তারা আমার লোকজনকে অপহরণ করতে চাইছে।’

মহেশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আশিক ইকবাল জানান, এ ধরনের একটি অভিযোগ শোনা গেছে। তবে এখনও লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ করেনি। যদি অভিযোগ পাওয়া যায় তবে তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান জানান, যদি এমন হয়ে থাকে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে লিখিতভাবে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।