বাংলাদেশের অগ্রগতির সব কিছুই ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’: রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতের শুধু কমিউনিটি ক্লিনিক নয়, বাংলাদেশের যা কিছু অগ্রগতি তা সব কিছুই শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য খাতের কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এই কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জন কল্যাণ ও জন সেবামূলকসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সমস্ত কার্যক্রমই শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ। যে যে ক্ষেত্রে তিনি বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন সেই ক্ষেত্রগুলো সবই শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ।

যোগাযোগের প্রশ্নে শেখ হাসিনা যে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি যে অবদান রেখেছেন এবং তিনি যেভাবে এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলকে যুক্ত করেছেন সব কিছুই শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ। সব কিছুকে শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভের ভেতর নিয়ে আসতে হবে।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, চিকিৎসা সেবা জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার। জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে সুনিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে একটি সুস্থ, কর্মক্ষম ও প্রগতিশীল জাতি গঠনের লক্ষ্যে সরকার সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করছে।

তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদার ও সুসংহত করতে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় দেশব্যাপী ১৪৩১৮ টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং পুষ্টিসেবা প্রদান করে যাচ্ছে।

তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন, জীবনমান বৃদ্ধি ও সার্বিক জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্য, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। দেশের মানুষ স্বাস্থ্যসেবার মতো অন্যতম মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আবার কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয়। এখন কমিউনিটি ক্লিনিক জন অংশীদারিত্বের একটি মডেল হিসেবে কাজ করছে। জনগণ জমি দিচ্ছে, সরকার ভবন করছে। এটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপের এক অনন্য উদহারণ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক একটি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান। আমি এই প্রতিষ্ঠানটির টেকসই অগ্রযাত্রায় সকলের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উত্তরোত্তর সম্মান বয়ে আনবে।

তিনি বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাতের সকল ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলব।