বেলকুচিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক

জাহিদুল হক আজিম (সিরাজগঞ্জ) বেলকুচি প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা চলতি মৌসুমে কৃষকরা ব্যাপক হারে জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন ইতোমধ্যেই গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেলকুচির বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষি জমিতে সূর্যমুখী ফুলের হাসিমুখে সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে চারিদিকে, হলুদ ফুল আর সবুজ গাছের অপরূপ দৃশ্য। এ সৈন্দর্য দেখতে আশপাশের এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা অনেকেই এসে জমিতে ভিড় জমাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলছেন।

কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ সার পেয়ে আমি জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করি এই বছরে ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী লাগানো হয়েছে
,অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়া যায় এই সূর্যমুখী ফুলে,আবহাওয়া ভালো থাকলে সূর্যমুখী ফুল থেকে আমি অনেক লাভবান হবো,

বেলকুচি উপজেলা কৃষি অফিসার কল্যাণ প্রশাদ পাল বলেন, বেলকুচিতে ব্যাপক আকারে চলতি বছরে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে প্রতি বিঘা জমিতে ১ কেজি বীজ দিতে হয়। ৭ /৮ ইঞ্চ অন্তর অন্তর একটি করে বীজ বপণ করতে হয়। একটি সারি থেকে আরেকটি সারির দূরত্ব রাখতে হয় । মাত্র ১৩০থেকে ১৪০ দিনের মধ্যে বীজ বপণ থেকে শুরু করে বীজ উৎপাদন করা সম্ভব। সূর্যমুখীর বিঘাপ্রতি ফলন ৮ থেকে ৯ মণ। একরের হিসেবে খরচ বাদ দিয়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ হয়। যা অন্য কোনো ফসলের চেয়ে কম পরিশ্রমে ভালো আয় হয় বেশি, চলতি বছরে উপজেলা থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে প্রশিক্ষণ পাপ্ত ৩০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সার প্রদান করা হয়েছে, চলতি মৌসুমে ৩০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করা হচ্ছে, কৃষকদের স্বাবলম্বী করতেই সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করার জন্য মাঠ পর্যায় মাঠ কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে, আগামীতে সূর্যমুখীর চাষ অনেক বাড়বে এমনটি আশা করছেন সকলেই।