বেনাপোল বাজারে আগুন, দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

এস এম মারুফ, ক্রাইম রিপোর্টারঃ যশোরের বেনাপোল বাজারের চুড়িপট্টি মার্কেটে ১২টি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আজ শনিবার (১৭ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে এ ভয়াবহ আগুনের সুত্রপাত ঘটে।

খবর পেয়ে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

করোনা মহামারিতে ঈদ উপলক্ষে সরকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কথা ভেবে লকডাউন শীতল করলে, অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু হঠাৎ এমন আকস্মিক আগুনের ঘটনায় অনেক ব্যবসায়ী বুকে চেপে রাখা কষ্টের ছাপ চোখে মুখে ভেসে উঠে। অনেকে পরিবার পরিজনের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার একমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেই সাথে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে তারা।

বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রতন দেবনাথ জানান, আমাদের এক ফায়ার সার্ভিসের কর্মী বেনাপোল বাজারে গেলে আগুনের বিষয়টি তার নজরে আসে। তৎক্ষনাৎ সে (৬ টা ১২ মিনিটে) আমাদেরকে জানালে ২/৩ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ৪৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে ভোরে দোকান ঘরগুলো বন্ধ তাকায় আগুনে নেভাতে বেশি বেগ পেতে হয়েছে।
কি কারণে আগুনের সুত্রপাত ঘটতে পারে? এমন প্রশ্নে তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, গলির ভেতর একটি কাপড়ের দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের করনে এ আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মোট ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ জানতে আমাদের কার্যক্রম আব্যাহত আছে।

বেনাপোল বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বজলুর রহমান (চেয়ারম্যান) বলেন, আগুনের খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে ছুটে যায়। এবং বেনাপোল ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভায়। সেই সাথে আমি বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের সহযোগিতায় কয়েকটি দোকানের মালামাল যতটুকু পেরেছি বাঁচানোর চেষ্টা করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি বারবার মিটিয়ে বাজার ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বীমার আওতাধীন করতে বলেছি। কিন্তু দু’জন ব্যবসায়ী ছাড়া আর কেউ বীমার আওতায় আসেনি। যে দু’জনের বীমা আছে তাদেরকে মালামাল সরানোর জন্য নিষেধ করা হয়েছে। বীমা কোম্পানি এসে ক্ষতি পূরনের দিক দিয়ে নিশ্চিত হতে পারে।
যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের কি কোন ক্ষতি পূরনে বাজার কমিটি কোন ভূমিকা গ্রহণ করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বাজার কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাহেবকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতি পূরন আসলে তা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের মাঝে দেওয়া হবে।

আগুনে ১ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।