চুয়াডাঙ্গায় ভোটারদের রোষানলে ডিসি-এসপি

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার তাদের কাছ থেকে অভিযোগ শোনেন পরে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে ২০ মিনিট পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে বিচ্ছিন্নভাবে সহিসংসতার মধ্যে দিয়ে চলেছে ভোটগ্রহন। ভোট কারচুপি, বিক্ষিপ্ত সহিসংতা ও নানান অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকজন প্রার্থী ভোট বজর্ন করেছেন।

এদিকে সহিসংতার খবর পেয়ে কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বিভিন্ন অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগে উত্তেজিত জনতার রোষানলে পড়েন চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। গতকাল রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নবীননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ফেসবুকে প্রকাশিত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।

তবে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম বলেছেন, তাদের অভিযোগটি ভিত্তিহীন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা গেছে, রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান। বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রকাশ্যে ব্যাপট পেপারে সিল মারার অভিযোগে কুতুবপুর ইউনিয়নের নবীননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে জনগণের রোষানলে পড়েন তারা। সেখানে তাদের ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার তাদের কাছ থেকে অভিযোগ শোনেন। পরে তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে ২০ মিনিট পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। পরে সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা শান্ত হয়। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। তাদের অভিযোগটি ভিত্তিহীন ছিল। জেলার চারটি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে।

তিনি আরও বলেন, আলুকদিয়া ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রের সামনে দুই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজনকে কুপিয়ে আহতের খবর ছাড়া কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া, মোমিনপুর, পদ্মবিলা ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ সদস্য পদে ১৫৪ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৪৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুত্র-সময়ের সমীকরণ।