প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘরা গ্রামে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে আব্দুল হাকিম (৩৬) নামের এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন। আজ (১৫জুলাই) সোমবার সকাল ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় আব্দুল হাকিমের নিজ বসতবাড়ি বোমায় গুড়িয়ে গেছে। পরে স্থানীয়রা জখম আব্দুল হাকিমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এলাকাবাসিরা জানায়, সোমবার সকাল ৮ টার দিকে ধান্যঘরা গ্রামের মৃত.আবু বকর মন্ডলের ছেলে আব্দুল হাকিমের বসতঘরের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের বিকট হয়।এসময় ঘরের ছাদের টিনে উড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ঘরের বারান্দা থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হাকিমকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বিস্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করে।
আহত আব্দুল হাকিমের ভাগ্নে সুজন হোসেন জানায়, সকালে নাস্তার সময় বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে বাইরে বের হয়। পরে মামার বাড়ির দিকে এগিয়ে এসে দেখে গুরুত্বর জখম অবস্থায় মামা আব্দুল হাকিম ঘরের বারান্দায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকারসহ পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট এহসানুল হক তন্ময় জানান, বিস্ফোরিত বোমার আঘাতে হাকিমের মাথা ও বাম পায়ে মারাত্মক জখম হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী বা ঢাকাতে রেফার্ডের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান (পিপিএম) বলেন, আহত আব্দুল হাকিমের নামে থানায় একটি মামলা আছে। এছাড়া হাকিম বেশ কিছুদিন ঘরে নিজে বোমা বানিয়ে সন্ত্রাসীদের সরবরাহ করতো বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে বোমা তৈরির বেশকিছু আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। একই সাথে তার স্ত্রীকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুপুরেই আশঙ্কাজনক অবস্থাই পুলিশ পাহারায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আব্দুল হাকিমকে রাজশাহি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্য চুয়াডাঙ্গা ত্যাগ করেন পরিবারে সদস্যরা।