চকরিয়ার বরইতলীতে অঙ্গীকার এর উদ্যোগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা

জেপুলিয়ান দত্ত জেপু, চকরিয়া

চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের পশ্চিম হিন্দুপাড়ার “অঙ্গীকার” নামের একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

২১ জানুয়ারী (শুক্রবার) পশ্চিম বরইতলী হিন্দুপাড়ার সার্বজনীন কালী মন্দির প্রাঙ্গনে দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। ওই দিন বরইতলীর বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের সম্বর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

“অঙ্গীকার” নামক এক সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুমন দাশ। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,মাঃ পিনুল কান্তি দে,মাঃসুদেব দত্ত,বরইতলী কালী বাড়ী উন্নয়ন কমিঠির সভাপতি অনুপম দে,মাঃ দুলাল সুশীল,মাঃ প্রানাশিষসহ এলাকার বিভিন্ন সমাজ সেবক ও শুভানুধ্যায়ী।

মঞ্চে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,মাঃ পিনুল কান্তি দে,মাঃ সুদেব দত্ত,অনুপম দে ও মাঃ দুলাল সুশীল। বক্তারা বলেন,বরইতলীর বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে “অঙ্গীকার” নামক এ সংগঠন বরইতলীর অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের মধ্যে একটি অন্যতম। এ সংগঠনটি এ ধরণের ব্যাতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এক বিরল দৃষ্টান্ত রাখলেন। কেননা এ পর্যন্ত এই এলাকায় বিভিন্ন ক্লাব বা সংগঠন প্রতিবছর শুধুমাত্র কৃতিত্বের সাথে এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়ে আসলেও অপেক্ষাকৃত কম গ্রেড পাওয়া শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেনি।কিন্তু একমাত্র “অঙ্গীকার” সামাজিক এ সংগঠন এ প্লাস পাওয়াসহ উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট বা সম্মাননা তুলে দেন উপস্থিত অতিথি বৃন্দরা। যা পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা নিরুৎসাহিত হবে না বলে বক্তাদের বক্তব্যের মূল বিষয় ছিল।

এদিকে,দুপুর থেকে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত কয়েকশত বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করেন ল্যাব টেকনিশিয়ান ঝুন্টু পাল ও ল্যাবসহকারী রিকন পাল।

“অঙ্গীকার” সামাজিক সংগঠনের সভাপতি সুমন দাশ এ প্রতিনিধিকে জানান, সংগঠনের মূল উদ্দেশ্যে সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা-সংস্কৃতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ব্যতিক্রমধর্মী বিভিন্ন কর্মসূচীর পরিকল্পনা রয়েছে। যা আগামীতে বরইতলী ইউনিয়নে এ সংগঠনটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে।বর্তমানে ৪৯ জন সদস্য রয়েছে। যারা স্বেচ্ছায় নিঃস্বার্থ ভাবে সামাজিক উন্নয়নে নিজেকে আত্মনিয়োগ করার মানসিকতা নিয়ে কাজ করছেন।

এছাড়াও এ সংগঠনটির সকল সদস্য সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করে বলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দে জানান। ২০১৭ সালে “অঙ্গীকার” নামক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয় কয়েকজন ছাত্রসহ তরুণ বয়সী এলাকার সচেতন ও সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন পেশাজীবিদের নিয়ে। সংস্থার সহযোগিতা পেলে সংগঠনের কার্যক্রমকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বলেও তিনি জানান।