গোবিন্দগঞ্জে শালিসী বৈঠক থেকে মটরসাইকেল ছিনতাই

গোবিন্দগঞ্জ (প্রতিনিধিঃ) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গ্রাম্য শালিস বৈঠক থেকে মটরসাইকেল ছিনতাই করার অভিযোগ।

থানার অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের শ্যামপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের মৃত-আহম্মদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও একই গ্রামের মৃত-আরস আলীর ছেলে রুহুল আমিনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা নিয়া বিরোধ চলে আসছে। সম্পর্কে এরা জ্যাঠাতো ও চাচাতো ভাই। জাহাঙ্গীর আলমের বয়স যখন ২ বছর তখন তার পিতা আহম্মদ আলী মারা যান। সে এতিম হওয়ায় তার জ্যাঠাতো ভাই রুহুল আমিন, আনছার আলী সহ তার ভাগনে, ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলমের পৈত্তিক সুত্রে পাওয়া জমি মিথ্যা মালিকানা দাবী করে বেদখল দিতে
বিভিন্ন সময় মারপিট, খুন-জখমের হুমকি দিয়ে আসছে।

এরি সুত্র ধরে গত ২৩ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে রুহল আমিন ও আনছার আলী গংগেরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়া জাহাঙ্গীর আলমের জমিতে যেয়ে মালিকানা দাবী করে আইল-সীমানা চিহিৃত করে। এ সময় জাহাঙ্গীর আলম ওই জমিতে বাঁধা দিতে গেলে তারা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে ধাওয়া করে। সে প্রান ভয়ে দৌড়ে পালাইয়া আত্মরক্ষা করে।

উক্ত ঘটনার বিষয় নিয়া গত ২৫ জানুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে ওই গ্রামের মোনাজ্জলের বসতবাড়ীর ঊঠানে গ্রাম্য শালিস বৈঠক বসে।

এক পর্যায়ে রুহুল আমিন গং শালিস বৈঠক অমান্য করে ভুন্ডুল করে দেয় এবং জাহাঙ্গীর আলমের ব্যবহারিত মটরসাইকেল যাহার রেজি নং- জয়পুরহাট-ল-১১-৫৭৭২ এর চাবি কাড়িয়া নিয়া রুহল আমিন তার লোকজন সহ মটরসাইকেলটি জোরপূর্বক মারপিট করে ছিনিয়া নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রুহুল আমিন সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ওই দিনেই থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দিন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বৈরাগীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিলন চ্যার্টাজ্জিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।