খুলনায় আবারও দুই সাংবাদিকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা, নিন্দা

কয়রা প্রতিনিধিঃ-খুলনা থেকে প্রকাশিত খুলনা টাইমস পত্রিকার সম্পাদক সুমন আহমেদ ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সকালের সময় ও দৈনিক খুলনা টাইমস কয়রা প্রতিনিধি সাংবাদিক ওবায়দুল কবির সম্রাটের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কয়রা সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মোছাঃ রুবিনা পারভীন গুলি নামে এক নারী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। মামলায় রিয়াছাদ আলম নামে আরো একজনকে নতুন আসামী করা হয়েছে, যার সদ্য বাংলাদেশ বিজিপিতে চাকরী হয়েছে । আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় কয়রা উপজেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক ও মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদারকে ১ নম্বর স্বাক্ষী করা হয়েছে। তার নামে কয়েক টি সংবাদ মাধ্যমে দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশিত হয়। এছাড়া আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নামে আরেক আওয়ামীলীগ নেতাকে ২ নম্বর স্বাক্ষী করা হয়।তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘরবাড়ি ভাংচুর সহ বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী কর্ম কান্ডের খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।কয়রা থানায় তার নামে একাধিক সন্ত্রাসী কর্ম কান্ডের একাধিক মামলা রয়েছে।সাম্প্রতিক সত্য ও বস্তু নিষ্ট সংবাদ প্রকাশ করায় মাহমুদ সাংবাদিক ওবায়দুল কবিরকে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এব্যাপারে থানায় সাধারন ডায়ইরি ও করা হয়। সম্প্রতি এ দুই ব্যাক্তিকে নিয়ে ‘সকালের সময়’ নামে একটি দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে তাদের বিরুদ্ধে সত্য সংবাদ প্রকাশিত হয়।মামলার বিবরণে জানা গেছে, বাদীর করা পৃথক একটি মামলায় গত ১০ অক্টোবর আদালত থেকে জামিন পেয়ে ওই দিন রাতে তার বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শনের পর এক নম্বর স্বাক্ষী বিজয় কুমার সরদারের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। পরে আসামীরা মামলার ২ নম্বর স্বাক্ষী মাহমুদের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এর আগে গত ২৪ আগষ্ট বাদীর কাছে আসামীরা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায়। এ ব্যাপারে কয়রা থানায় সাধারণ ডায়রী করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত: ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর খুলনা টাইমস পত্রিকায় ‘মামলা দিয়ে ফাঁসানো রুবিনার পেশা’ নামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর জের ধরে ওই বছরের ৬ নভেম্বর খুলনা টাইমস পত্রিকার সম্পাদক সুমন আহমেদ ও কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি ওবায়দুল কবির সম্রাটকে আসামী করে আদালতে মানহানির অভিযোগে মামলা করেন রুবিনা আক্তার বুলি। বর্তমানে ওই মামলায় তারা জামিনে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে আরো একটি মামলা করেছেন রুবিনা। জানা যায় একটি মহল রুবিনাকে সামান্য টাকা দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থহাসিলের জন্য হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলা দিয়ে থাকেন।তথ্য অনুসন্ধানে জানা রুবিনা কয়েক ডজন মামলার বাদী।সাম্প্রতিক মিথ্যা মামলা করায় সত্য প্রমানিত হয়ে রুবিনার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও হয়েছে। এদিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলাকে হয়রাণী ও ষড়যন্ত্রমুলক দাবী করে স্থানীয় সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন তারা।