কেন নৌকায় ভোট দেবেন?

নিউজ ডেস্ক : আগামীকাল রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্বের কথা আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও বলছে। ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের পর বাংলাদেশ সংসদীয় গণতন্ত্র বিলোপ করেন জিয়াউর রহমান। দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। ৯০ এর আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের। নতুন সংসদে সম্মিলিতভাবে সংসদীয় গণতন্ত্র পুন:প্রবর্তন করে। নানা সংকট এবং টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র এগিয়ে চলেছে। এবার নির্বাচনে সংসদীয় গণতন্ত্রও নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিদায়ী সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহনে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের জন্যে এক অনন্য অর্জন। নানা ত্রুটি বিচ্যুতির পরও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে সব দল থাকবে। নির্বাচন উৎসবমুখর হবে, এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।

নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, কাকে ভোট দেবেন? কেন ভোট দেবেন? ভোট প্রত্যেকটি মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার, নাগরিক অধিকার। একজন নাগরিক নিশ্চয় তার বিবেচনা থেকেই তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সারা বিশ্বেই গণমাধ্যম নির্বাচনে কারো পক্ষ নেয়। মার্কিন নির্বাচনে নিউইয়র্ক টাইমস এবং সিএনএন ঘোষণা দিয়েই হিলারীকে সমর্থন দিয়েছিল। ভারতের নির্বাচনে প্রভাবশালী দু’টি দৈনিক দ্যা হিন্দু এবং টাইমস অব ইন্ডিয়া বিজিপিকে সমর্থন দিয়েছিল। কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষালম্বন কোন দোষের বিষয় নয়। কিন্তু বাংলাদেশে অন্য সব কিছুর মতোই সব কিছুই হয় গোপনে। অধিকাংশ গণমাধ্যম পক্ষালম্বনের বিষয়টিকে সাংবাদিকতার রীতি বিরুদ্ধ মনে করা হয়। অথচ প্রায় সব গণমাধ্যমেই একটা পক্ষ থাকে। এবার নির্বাচনে ‘প্রথম আলো’ এবং ‘ডেইলি স্টার’ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে। জনকণ্ঠ আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানিয়েছে। যদিও এসব আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নয়। ‘দৈনিক এই আমার দেশ’ এবারের নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক ভাবেই আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানাচ্ছে। ‘দৈনিক এই আমার দেশ’ তার সম্পাদকীয় নীতি অনুসরণ করে মনে করে, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই আরেকবার জয়ী হওয়া প্রয়োজন। কারণ নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্তেও আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নে এক অপ্রতিরোধ্য গতিবেগ সৃষ্টি করতে পেরেছে। সব থেকে বড় কথা হল, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের স্বপ্নগুলোকে জাগিয়ে তুলতে পেরেছেন। এদেশের মানুষ এখন সম্ভাবনা দেখে, স্বপ্ন দেখে, অসাধ্য সাধন করতে চায়। একটি দেশের মানুষ যখন নিজের শক্তি, নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হয়, তখন কেউ তাকে দমিয়ে রাখতে পারে না। শেখ হাসিনা বাঙ্গালির অদম্য শক্তিকে জাগিয়ে তুলেছেন। গত দশ বছরে আওয়ামী লীগের অনেক ব্যর্থতা আছে। কিন্তু আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগকে অন্যভাবে সাজাবেন শেখ হাসিনা। দুর্নীতি, অপশাসনের বিরুদ্ধে তিনিই হবেন পরিবর্তনের কাণ্ডারি। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। স্বাধীন দেশ হিসেবে আমরা আত্মপ্রকাশ করেছিলাম। এখন বাংলাদেশের পরিবর্তনের নেতা হলেন শেখ হাসিনা। এখন সময় এগিয়ে যাবার। বিশ্বে বাংলাদেশকে মাথা উচু করে দাড়াতে হবে। আমাদের স্বপ্নগুলোকে দিতে হবে বাস্তবতা। আর এজন্য আমরা নতুন নীরিক্ষার পক্ষে নই। আমরা দোষারোপের রাজনীতিকে না বলি। আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষে।

আমরা নৌকার পক্ষে।

আপনার একটি স্বপ্ন নিশ্চয়ই আছে। সেই স্বপ্ন পূরণের পক্ষে ভোট দিন।