কার্পাসডাঙ্গায় কোটি টাকা মূল্যের সরকারী খাস জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারের কাউন্সিল মোড়ে সরকারী রোডের কোল ঘেঁষে কোটি টাকা মূল্যর সরকারী খাসজমি দখল করে দুটি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। জানা গেছে কার্পাসডাঙ্গা কাউন্সিল মোড়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের তেলা কোটি টাকা মূল্যর সরকারী খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন। তেলা সরকারী কোটি টাকা মূল্যর এ খাস জমি দখল করে ৪ কামরা দোকান ঘর নির্মান করছে। যার কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। দিনে দুপুরে এভাবে সরকারী কোটি টাকা মূল্যর খাস জমি দখল হলেও প্রশাসন ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিস নীরব ভূমিকা পালন করছে। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মাহাতাব হোসেনের দৃষ্টিগোচর করা হলে তিনি ঘটনা স্থলে পৌঁছে তেলাকে ঘর নির্মান বন্ধসহ যতটুকু নির্মাণ করা হযেছে তা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন। সুচুতুর তেলা কয়েকদিন নির্মান কাজ বন্ধ রেখে অল্প গাঁথুনী থেকে সরকারী দুদিনের ছুটিতে দিনরাত কাজ করে অবৈধ দোকান নির্মানের কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছেন। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞা কে তোয়াক্কা না করে তেলার কর্মকান্ডে বিস্মিত এলাকাবাসী। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মাহাতাব হোসেন জানান জায়গাটি রোডস এন্ড হাইওয়ে জেলা পরিষদের। তার পরেও তিনি বাধা দিয়েছেন।

স্থানীয় অনেকে জানান কার্পাসডাঙ্গায় যাত্রী ছাউনি নির্মানের জন্য খাস জমি মেলেনা কিন্তু তেলার মার্কেট নির্মানে কোটি টাকার খাস জমিও বেদখল হয়। দিনেদুপুরে সরকারী এসব কোটি টাকার সম্পদ বেদখল হওয়ায় হতবাক হয়েছেন এলাকাবাসী। তারা বলেন এ দোকান গুলো নির্মান করে তেলা প্রতি দোকানে ৩ লাখ করে এডভান্স নিয়ে দুই হাজার টাকা করে ভাড়া নিয়ে প্রতিমাসে ৮ হাজার টাকা আয় করবে ও ১২ লক্ষ টাকা এ্যাডভান্স নেবে। সেই সাথে কোটি টাকার সম্পত্তি তার দখলে থাকবে। এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আঃকরিম বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন খাস জমি অবৈধ দখল করে মার্কেট নির্মাণ সম্পূর্ন বেআইনী। ভূমিদস্যুদের কোন ছাড় নেই বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে তেলার সাথে কথা বললে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

তিনি বলেন যারা খাস জমি দখল করে এসব করছে তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।দিনে দুপুরে প্রকাশ্য এভাবে কোটি টাকার সম্পদ ভূমিদস্যুদের দখলে চলে যাওয়ায় স্থানীয় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গবে কি এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে।নাকি এরা কোটি টাকার সম্পদ দখল করে পার পেয়ে যাবে

খাসজমি দখলকারী তেলার নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কোটি টাকার এ সম্পদ দখল মুক্ত করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।