‘আরাম করে খেলা দেখার কারণে’ বিপিএলে দর্শক নেই!

ডেস্ক : বিপিএলের সাত ম্যাচ হয়ে গেছে। অথচ মাঠে দর্শক নেই! টুর্নামেন্টে বড় বড় তারকা খেলতে এসেছেন, অথচ দর্শকশূন্য গ্যালারি। কিন্তু কেন, সেটির কিছু কারণ বললেন মুশফিকুর রহিম
বিপিএলে অষ্টম ম্যাচ চলছে। অথচ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি খাঁ খাঁ করছে। বেশির ভাগ ম্যাচই দর্শকশূন্য। অথচ গত আসরেও ম্যাচ গুলিতে যথেষ্ট দর্শক এসেছিল। এবার হলোটা কী! মাঠে দর্শক আসছে না কেন?

মুশফিকুর রহিমের কাছে কিছু ব্যাখ্যা আছে। চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মনে করেন মানুষের হাতে হাতে মোবাইল-ইন্টারনেট একটা কারণ হতে পারে, ‘ফাঁকা গ্যালারি তো থাকবে ভাই। আপনারা এখন মোবাইলে লাইভ দেখতে পারেন, বাসায় বসে বসে আরামে দেখতে পারেন। যখন বাইরে কাজ থাকে তখন টিভিতে দেখে বা মোবাইলে দেখে। এ কারণেও হতে পারে। আগে আবাহনী-মোহামেডানের খেলা কোথাও দেখার সুযোগ থাকত না। তখন অনেক দর্শক হতো।’
এবার বিপিএলে দর্শক না হওয়ার পেছনে আরও একটা কারণ বললেন মুশফিক, ‘সারা বছর আন্তর্জাতিক খেলা এত হয় যে ভাবে এখন একটু বিশ্রাম নিই, আন্তর্জাতিক খেলা হলে দেখব!’ দর্শকেরা হচ্ছেন মাঠের প্রাণ। দর্শকেরা না থাকলে দুর্দান্ত ম্যাচও নিষ্প্রাণ মনে হয়। দর্শকদের উদ্দেশ্যে তাই মুশফিকের আহ্বান, ‘এটাই বলব এত বড় বড় খেলোয়াড় এসেছে, স্মিথ, ওয়ার্নার, রাসেল, পোলার্ড তাদের খেলা যদি মাঠে বসে না দেখেন তাহলে আর কোথায় দেখবেন!’
মুশফিকুরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যদি দর্শকেরা মাঠেও আসেন, তাঁদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স কিংবা জমজমাট ম্যাচ উপহার দিতে পারবেন? প্রশ্নটা এ কারণেই আসছে, বেশির ভাগ ম্যাচই হচ্ছে লো স্কোরিং আর একপেশে। জমজমাট ম্যাচ না হওয়ায় দায়ী হচ্ছে উইকেট। প্রতি বিপিএলেই কাঠগড়ায় তোলা হয় উইকেটকে। মুশফিক অবশ্য মনে করেন জমজমাট ম্যাচ উপহার দিতে খেলোয়াড়দেরই বেশি ভূমিকা রাখতে হবে, ‘উইকেটের চেয়ে খেলোয়াড়দের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বাড়ানো উচিত। বিশ্বে যেসব টি-টোয়েন্টি খেলা হয়, অনেক রান হয়। আমাদের এখানে একটু ভিন্ন। আমরা তো জানি আমাদের এখানে কী কন্ডিশন, কী এখানে হতে পারে। বোলার বা ব্যাটসম্যান কী করতে পারে। আমাদের মানিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য আরও বাড়ানো উচিত। সে অনুযায়ী যদি খেলতে পারি তাহলে এই স্কোরগুলো আরও বড় হবে। সেটা হলে দর্শকেরাও আরও ভালো ম্যাচ দেখতে পারবে।’
টিকিটের দাম নিয়েও দর্শকদের মনে প্রশ্ন আছে। কারণ যা-ই হোক না কেন, এমন দর্শকশূন্য গ্যালারি যেন পুরো আয়োজনটাকেই ম্রিয়মাণ করে দিচ্ছে।