সরিষাবাড়ীতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় মামলা

এমরান হোসেন

সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দি সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০/৪৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) রাতে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিউল আলম সোহাগ বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।

সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, পুলিশের কাজে বাধা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক ১ নং আসামি মশিউর রহমান মোর্শেদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এদিকে পুলিশের তদন্ত কেন্দ্রে হামলা ও তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্থানীয় লোকজন কারখানা এলাকায় এ মিছিল বের করেন।

এ ব্যাপারে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ বলেন, যমুনা সার কারখানা এলাকায় বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। যেকোনো ঘটনা মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে কোনো অপকর্ম করার সুযোগ নেই। বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং জেলা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাকে জড়িয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সমর্থক মোর্শেদের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন। পুলিশ এতে বাধা দিলে তারা সংঘর্ষে জড়ান। এ সময় পুলিশ মোর্শেদকে আটক করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তদন্ত কেন্দ্রে হামলা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফসহ ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়।