মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানীকর তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে ত্রিশালে উপজেলা ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন

মমিনুল ইসলাম মমিন, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ত্রিশালে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০২ নভেম্বর) ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়ে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান মাহমুদ।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিককালে একটি কু-চক্রী ও স্বার্থানেন্নষী মহল ব্যক্তিস্বার্থ ও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে আমি সহ আমার পিতা মাননীয় সংসদ সদস্য ও ধর্মমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী এবং আমার পরিবারের অপরাপর সদস্যের বিরোদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, কু-রুচি পূর্ণ ও মানহানিকর তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টিসহ আমার পিতা ও আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন প্রয়াস গ্রহণ করেছে। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ হেড কোয়ার্টার, দুর্নীতি দমন কমিশন সহ বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা, কাল্পনিক ও মানহানিকর অভিযোগ দায়ের করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে লিপ্ত রয়েছে। আমি এহেন মিথ্য ও মানহানিকর অপ-প্রচারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আপনারা অনুসন্ধান করলে জানতে পারবেন যে, কিছু ভূয়া নিবন্ধন বিহীন অনলাইন পোর্টাল ও ফ্যাক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে এসব অপপ্রচার চালানো হয়েছে যার কোন অস্তিত্বই নেই।

আরও বলেন, আমার পিতা ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত সমগ্র ত্রিশালে যে উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছিলেন তা ত্রিশালের জনগণ সহ সর্বমহলে স্বীকৃত। দীর্ঘ ১৮ বছর ত্রিশাল উপজেলা ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত। সেই দুঃখজনক ইতিহাস আপনাদের অজানা নেই। বহিরাগত এবং পরবর্তীতে একজন (যুদ্ধাপরাধী বর্তমানে কারাগারে এবং বিচারাধীন) ত্রিশালে কোন দৃশ্যমান উনয়ন করেন নাই। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আমার পিতা পুনরায় দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর গত ২২ মাসে ত্রিশালে উন্নয়নের জোয়ার বইতে শুরু করেছে। ত্রিশালের সর্বস্তরের মানুষ তাকে উন্নয়নের রূপকার হিসেবে শ্রদ্ধা করেন। আমি বাবার রাজনীতির সুবাদে ২০০১ সাল থেকে রাজনৈতিক সকল কর্মকা-ে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি। ছাত্রলীগের সভাপতির দায়ত্বি নেওয়ার পর থেকে ত্রিশালের সাধারণ মানুষের সেবামূলক কাজের সাথে নিজেকে জড়িত রেখেছি। উল্লেখিত কুচক্রীমহল টি এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে উনয়নের গতিপথকে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্থ করতে ব্যর্থ হয়ে নানা ধরনের কুৎসা রটায়ে আমার পিতা এবং আমাদের পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে সাম্প্রতিকালে এ ধরনের যড়যন্ত্র লিপ্ত হয়েছে। ছাত্রলীগের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে তিল তিল করে, হাজারো কষ্ট সহ্য করে প্রাণের সংগঠনকে লালন করে ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগকে আজ ভালো পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। সেই থেকে পথ চলায় পিতার স্বপ্ন পূরণে রাজনীতিতে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি, অনেকগুলো মিথ্যা মামলার আসামি হয়েছি। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আমার পিতার স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার বদ্ধ। আমার এবং আমার পিতার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং মানহানিকর বটে।

তিনি আরও বলেন, প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, আপনারা সমাজের দর্পণ। আপনাদের লেখনী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশ এবং জাতিকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। কয়েক দিন পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আমার নাম করে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশিত হয়, যাহা আমার বোধগম্য নয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে ও আমার পরিবারকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। উল্লেখিত বিষয়ে আমি বা আমার পরিবার কোন ভাবেই জড়িত নই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার সারাদেশে যে সকল দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকা- করেছেন তারই ধারাবাহিকতায় ত্রিশালের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী সাহেবের নেতৃত্বে ত্রিশালে সর্বক্ষেত্রেই উনয়নের জোয়ার বইছে সে উন্নয়ন কার্যক্রমকে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আওয়ামীলীগ নামধারী, সুবিধাবাদী ও বিগত সময়ে বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও কার্যক্রম চালিয়েছে। যাদের কাছে দলের চেয়ে নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছে তারাই এ ধরনের কার্যক্রমের লিপ্ত থেকে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে অস্বীকার করে বিএনপি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

এ সয়ম অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নবী নেওয়াজ সরকার, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকন্দ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, হামিদুর রহমান, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম আহবায়ক শোভা মিয়া আকন্দ, পৌর আ.লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোখছেদুল আমীন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, সহ সভাপতি শফিউল্লাহ মোস্তফা মনির, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।