বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে

মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই বছরের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু টানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। ওদিকে টানেলের শহর অংশ থেকে সকল ধরনের যানবাহন যাতে আনোয়ারা অংশ দিয়ে দ্রুত চলাচল করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। সেজন্য ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ লেনের ১১ কিলোমিটারের সংযোগ সড়কের কাজ পুরোদমেই চলছে। কর্ণফুলী টানেলের সংযোগস্থল থেকে শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারের ৬ লেইনের সংযোগ সড়কের কাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে। এতে সংযোগ সড়কের পাশাপাশি শিকলবাহা ক্রসিং থেকে পটিয়া-মনসা বাদামতল পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার বিদ্যমান সড়কও দুই পাশে দ্বিগুণ বড় করা হবে। উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করেছেন দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে আনোয়ারার কালাবিবির দীঘির মোড় থেকে পিএবি সড়কের শিকলবাহা ওয়াই জংশন পর্যন্ত ৮ দশমিক ১ কিলোমিটার ছয় লেইন এবং কালাবিবির দিঘি থেকে আনোয়ারা উপজেলা সদর পর্যন্ত ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার দুই লেইন সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে এখন দ্রুত গতিতে। এতে ২৬৭ কোটি টাকা বরাদ্ধের মূল সড়কে ব্যয় হবে। জমি অধিগ্রহণে ৯০ কোটি টাকা এবং বাকি ১১৩ কোটি টাকা বিবিধ ক্ষতিপূরণে ব্যয় হবে। দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ সাংবাদিকদের জানান, বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজের পাশাপাশি ২৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আনোয়ারা অংশে সংযোগ সড়কের কাজও চলছে। বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে আসা গাড়িগুলো ৬ লেইনের সংযোগ সড়ক দিয়ে শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত নির্বিঘেœ আসতে পারবে। আবার শিকলবাহা থেকে পটিয়া বাদামতল পর্যন্ত বিদ্যমান ১৮ ফুটের সড়টিকে ৩৪ ফুটে সম্প্রসারণ চলছে। ফলে টানেল দিয়ে আসা গাড়িগুলো পটিয়া বাদামতল পর্যন্ত চলে আসতে পারবে। প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে চলাচলরত গাড়িগুলো আনোয়ারার কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইপিজেড, সিইউএফএল, পারকি সমুদ্র সৈকত হয়ে কক্সবাজার, বাঁশখালী ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর যেতে পারবে।