প্রতারণার দায়ে স্বদেশ লাইফের সাবেক সিইও ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনের বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম কোর্টে মামলা।

নিজস্ব প্রতিবেদক :স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইনশিওরেন্স কোম্পানির গ্রাহকের প্রিমিয়ামের টাকা নিজ একাউন্টে গ্রহণ করে আত্মসাৎ, ইডরার অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন ইনসেনটিভ গ্রহণ করে আত্মসাৎ ১,০২,২৭,২২২/- (এক কোটি দুই লক্ষ সাতাশ হাজার দুইশত বাইশ) সহ নানা-অনিয়মের দায়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বরখাস্ত কৃত স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের দায়ে ঢাকা সিএমএম কোর্টে মামলা রুজু করেন জনাব এ বি এমন মহিউদ্দিন, যা বর্তমানে সিআইডির তদন্তাধীন রয়েছে। আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন কর্মজীবনে ইখতিয়ার উদ্দীন শাহীন দীর্ঘদিন তাঁর অধীনস্থ থেকে কাজ করার ফলে আসামির সাথে তার একটি সখ্যতা তৈরি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় স্বদেশ ইসলামী লাইফে তিনি কাজ করতে আসেন আসার পরে আসামি ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনের বিশেষ প্রয়োজনে তার নিকট টাকা লোন চান। বাদী সুসম্পর্কের কারণে সরল বিশ্বাসে ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত লোন উত্তোলন করে নগদে তিন কিস্তিতে ১০ লক্ষ টাকা আসামী ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীন কে প্রদান করেন যা সুদ সমেত এখন প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার অধিক হয়েছে। আসামি শাহীন বাদীকে বলেছেন যে, তিনি পাঁচ মাসের মধ্যে উক্ত ১০ লক্ষ টাকা নগদে বাদী কে ফেরত প্রদান করবেন কিন্তু পাঁচ মাস অতিক্রম হওয়ার পরে বাদী আসামী শাহিনের কাছে টাকা চাইলে দেই দিচ্ছি বলে সে নানা তাল বাহানায় সময় ক্ষেপন করেন। এমতাবস্থায় সর্বশেষ ৩০/০৯/২০২১ইং তারিখ বাদীর সাথে আসামী শাহিনের দৈনিক বাংলার মোড় অগ্রণী ব্যাংকের নিচে দেখা হলে আসামি শাহিনের কাছে বাদী টাকা চাইলে আসামি শাহীন টাকা না দেওয়াসহ বাদী কে নানা ধরনের হুমকি প্রদান করেন, একপর্যায়ে আসামি শাহীন বাদীর পাওনা টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে বাদী সু কৌশলে আসামী শাহিনের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার স্বীকারোক্তিমূলক রেকর্ড সংগ্রহ করেন ( যা সংরক্ষিত আছে)। এরফলে বাদী টাকা উত্তোলনের জন্য গত ২২/০৫/২৩ইং তারিখ আসামিকে উকিল নোটিশ প্রদান করেন। উকিল নোটিশে প্রদত্ত সময়ের মধ্যে আসামি শাহীন বাদীকে টাকা প্রদান না করলে বাদী গত ০৫/০৭/২০২৩ইং তারিখ মাননীয় সিএমএম আদালত, ঢাকায় আসামি শাহিনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। যাহার নাম্বার ১০৫৮/২০২৩, স্মারক – ২৭০৪, ধারা – ৪০৬/৪২০/৫০৬ যা বর্তমানে চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য সিআইডি তদন্তাধীন রয়েছে। উক্ত মামলার অভিযোগের বিষয়ে আসামি জনাব ইখতিয়ার উদ্দিন শাহিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এরপরে প্রতিবেদক বাদী এবিএম মহিউদ্দিন এর কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামি শাহিনের সাথে আমার সুসম্পর্ক থাকার ধরণ আমি সরল বিশ্বাসে ব্যাংক থেকে লোন করে তাকে টাকা দিয়েছি। আসামি শাহিনের দেওয়া সময় মত টাকা না পেয়ে আমি বারবার তার কাছে টাকার ব্যাপারে তাগাদা দেই। এমনকি আমি স্বদেশ ইসলামী লাইফের সংস্থাপন বিভাগে কর্মরত ( কোম্পানি সচিব, অতিরিক্ত দায়িত্ব) জনাব জামাল উদ্দিন সাহেবের শরণাপন্ন হই, সেও আসামি শাহিনের সাথে একাধিকবার আলাপ করেও যখন আমার টাকা উত্তোলন করে দিতে পারেননি তখন আমি জামাল উদ্দিন কে বলি আপনি তো আইন ভালো বোঝেন, আপনি আমাকে সহযোগিতা করুন। তখন জনাব জামাল সাহেব আমাকে আসামি শাহীনকে প্রদত্ত উকিল নোটিশসহ মামলা করার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করেন এমনকি উকিল নোটিশ ও মামলার নথিপত্র তিনিই আমাকে ড্রাফ্ট করে দেন এজন্য মামলার বাদি তার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।