পরিচয় চালাকীতে ইয়াবা শাহ আলম নিরাপদ,মোঃ শাহজাহান মামলায়,সর্বত্র তোলপাড়

বান্দরবান প্রতিনিধি    রামুর কচ্ছপিয়ায় এক হতদরিদ্র ও সৎ ক্ষুদে ব্যবসায়ীর পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে পার পাচ্ছে এক ইয়াবা কারবারীর সহযোগী। আর ফেঁসে যাচেছন নিরীহ এ ব্যবসায়ী শাহজাহান। তার পিতার নাম কালা মিয়া। তার বাড়ি ইউনিয়নের ডাক্তার কাটায় । অভিযোগ গুলো অপকটে করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ইউনিয়নের এই হতদরিদ্র শাহজাহানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও তার পরিবার।
  গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে করা স্থানীয় এক হোটেলে এ সাংবাদিক সম্মেলনে তারা আরো বলেন,তার স্বামী এক নিরপরাধ ও আইনমান্যকারী ব্যক্তি। সামান্য চাষ আর বাড়ির সামনে পান ও কলার দোকান করে জীবন কাটাতে গিয়ে সংসার নিয়ে এখন ফতুর জীবন কাটাচ্ছেন তারা। তেল আনতে পান্তা ফুরায় প্রতিদিন।কালে-ভাদ্রেও সন্তানদের জামা-কাপড় কিনে দিতে পারে না তার স্বামী। বাবার নির্মান করা মাটির ঘরটি মাথা গুজানোর জন্যে আছে শুধু। সৎ চলতে গিয়ে এভাবেই জীবন কাটাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে তাদের পরিবার।
    সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন,শাহজাহানের স্কুল পড়ূয়া মেয়ে সাদিয়া ইয়াছমিন,২ছেলে যথাক্রমে মোহাম্দ জুনাইদ ও রিয়াদুল ইসলাম,মা হাজেরা খাতুন ও ভাই শাহামাতুল্লাহ।
  শাহজাহানের মা হাজেরা খাতুন ও স্ত্রী রাবেয়া বেগম বলেন,এলাকায় ইয়াবা কারবারী নামে পরিচিত যুবক শাহ আলম। সে তাদের প্রতিবেশীও বটে। শাহ আলমের  কতেক আত্মীয় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসা যাওয়া করে। এদের একজনকে ইয়াবা নিয়ে পুলিশ আটক করে গত ১৯ তারিখের ঘটনায়।
 এ ইয়াবা চালান নিয়ে পাচারের সময় পুলিশের তাড়া খেয়ে আহতও হয় সে ( শাহ আলম)। এখনও এর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে তার গায়ে। এর আগেও দৌছড়িতে ইয়াবার চালান সহ স্থানীরা তাকে উত্তম-মাধ্যম দিয়েছিলো ।
 সব মিলে শাহ আলম একজন দাগী ব্যবসায়ী। এছাড়া সে আরো নানা অপর্কমের সাথে জড়িত বলে তাদের অভিযোগ।
    বিশেষ করে শাহ আলম জানে যে তার বাড়ির পাশের শাহজাহান একজন ভালো লোক। আর সৎ হিসেবে পরিচিত। সে কারণে র্বামাইয়া বুদ্ধিতে শাহ আলম আইনের মানুষের কাছে শাহজাহান পিতা কালা মিয়া বলে পরিচয় দিয়ে থাকে সব সময়। যা নিয়ৈ শাহ আলমের সাথে শাহজাহানের পরিবারে র্তকাতর্কিও হয় কয়েক দফা। কেননা শাহ আলম একজন সীমান্ত ব্যবসায়ী-তাই।
এ অবস্থায় এ কূচক্রিদের একটি ইয়াবা চালান পাচারকালে গত ১৯ জুন শনিবার দিবাগত রাতে কচ্ছপিয়া ও কাউয়ারকূপের মধ্যবর্তী জারুলিয়াছড়ি এলাকায় ককসবাজার গোয়েন্দা পুলিশ ধরে ফেলে। এতে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ছিলো। এ ঘটনায় নিয়ে মামলা করে তারা। আর এতে ৮ জনকে নামীয় আসামী করা হয়।
 তারা জানান,এতে ১নং রশিদ আহমদ,আলীকদম ২ নং এনামুল হাসান,কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ৩ মাহমুদা বেগম,জারুলিয়াছড়ি দৌছড়ি, ৪ নং আনোয়ার ছাদেক  ৩ নম্বর মহিলার ছেলে ৬ নং শাহ জাহান,বেঙঢেবা,কচ্ছপিয়া ৭নং নুরুল আলম পূর্ব হাজিরপাড়া,কচ্ছপিয়া  ৮ নং মোহাম্মদ কামাল,কম্বনিয়া নাইক্ষ্যংছড়ি ।
  এ মামলার ৬ নম্বর আসামী শাহজাহান মুলত শাআলমই। কিন্ত পুলিশের কাছে শাহআলমরা
 শাহজাহান পেছিয়ে মামলায় নাম লিখান । এভাবে   ফেঁসে  যান শাহজাহান আর বেচে  যান শাহ আলম।  এভাবেই একটি অভিযানকে প্রশ্ন বিদ্ধ করে ফেলে শাহআলম চক্র। তারা এ তথ্য সরেজমিন তদন্ত করে উদঘাটন করে প্রকৃত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে ককসবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে জোর দাবী জানান। পাশাপাশি তাদের এলাকা কে ইয়াবা মূক্ত করতে তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিশেষ করে গোয়েন্দা পুলিশের করা মামলায় তাদের  (সাংবাদিক  সম্মেলনকারীদের) নির্দোষ গৃহর্কতা শাহজাহানকে মামলা থেকে রেহায় দিতে জোরদাবী জানান তারা।  
  এ বিষয়ে কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু ইসমাঈল নোমান জানান, শাহজাহান একজন ক্ষুদে দোকানদার। তাকে এলাকায় সৎ হিসেবে জানে। তিনিও একইভাবে জানেন।
 অপরদিকে সেদিন জারুলিয়াছড়িতে ইয়াবা আটক অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ককসবাজার গোয়েন্দা পুলিশের পরির্দশক মানস বড়ূয়ার সাথে একধিকবার যোগাযোগ করলেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।