পদ্মা নদী থেকে সেই বুয়েট ছাত্রের লাশ উদ্ধার

পদ্মা নদীতে সেলফি তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজ বুয়েট ছাত্র তারিকুজ্জামান সানির মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আজ শুক্রবার সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিখোঁজ তারিকুজ্জামান সানি (২৬) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর স্থাপত্য বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা থানার বাসিন্দা হারুন উর রশিদের ছেলে। তবে সানি ঢাকার হাজারীবাগে থাকতেন বলে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, গত রাতে আমরা খবর পাই, মৈনট ঘাটে পদ্মা নদীতে বুয়েটের এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে ডুবুরি দল পাঠানো হয়। তবে রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সানির সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ (১৫ জুলাই) সকাল ১১টা ২৬ মিনিটে মৈনট ঘাট থেকে ওই বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ দোহার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের নেতৃত্ব দেওয়া আবুল খায়ের বলেন, সানিসহ ১৬ জন বন্ধু মিলে পদ্মা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৈনট পদ্মা পাড়ে ঘুরতে আসে। পাড়ে রাখা একটি ড্রেজার মেশিনের উপরে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান সানি।

দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, বৃহস্পতিবার ১৫/১৬ জন যুবক ঘুরতে আসলে তাদের মধ্যে সানি পদ্মা নদীতে নিখোঁজ হন। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।