নাসিক নির্বাচন: স্বজনই যখন প্রতিদ্বন্দ্বী

আসন্ন নাসিক নির্বাচনে এক কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন স্বজনের বিরুদ্ধে। স্বজনদের এমন প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে এলাকায়ও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

নাসিক ১নং ওয়ার্ডে পিতা-পুত্র ও চাচা-ভাতিজা হয়েছেন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। এ ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন হাজী মো. আনোয়ার ইসলাম। একই ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার ছেলে মো. মাহাবুব আলম।

একই ওয়ার্ডে তার ভাতিজা ও বর্তমান কাউন্সিলর ওমর ফারুকও প্রার্থী। এ ওয়ার্ডে পিতা-পুত্র ও চাচা-ভাতিজা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী।

নাসিক ২নং ওয়ার্ডে আপন দুই ভাই বর্তমান কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন ও কামাল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের পাশাপাশি তার স্ত্রী চাঁদনী আক্তার জ্যোতি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

৪নং ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম ও তার ভাই জহিরুল হক কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫নং ওয়ার্ডেও আনিসুর রহমান এবং তার ভাই কবির হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একইভাবে ৬নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি এবং তার ভাগিনা আল মামুনুর রশীদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মণ্ডল ও মজিবুর রহমান মণ্ডল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচন করছেন তানজীম কবির সজীব ও তার ভাই তৌহিদ কবির।

আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের ১০টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ৮৯ কাউন্সিলর প্রার্থী নিজেদের মতো করে চালিয়ে যাচ্ছে প্রচারণা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মিছিল, উঠানবৈঠকসহ নানাভাবে প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। সেই প্রার্থীদের অনেকেই তাদের স্বজনদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে নির্বাচনে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তবে এলাকাবাসী বলছেন, ডামি (কৃত্রিম বা সাজানো) প্রার্থী হিসেবে তাদের স্বজনরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কেননা নির্বাচনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে তাদের নিজস্ব পুলিং এজেন্ট দিয়ে মূল প্রার্থীর পক্ষে ডামি প্রার্থীর লোকজন কাজ করতে পারবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন এক প্রার্থীও স্বীকার করলেন এ কথা। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় কিছুটা সুবিধা পাওয়ার আশাতেই আমার ভাইকে প্রার্থী করেছি।