নাটকীয় ১ রানে জয়ে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

এই আমার দেশ ডেস্কঃ

৪৩ বলে প্রয়োজন মাত্র ৪৫ রান, হাতে ৮ উইকেট। ক্রিজে সেট দুই ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল আর নুরুল হাসান সোহান। ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছিল সহজভাবেই হয়তো জয় পেতে যাচ্ছে বরিশাল। কিন্তু শেষদিকে এসে কুমিল্লার কাছে হেরে শিরোপা জেতা হল না সাকিবের বরিশালের। ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে মাত্র ১৫১ রানের পুঁজি। এরপর আবার ব্যাট হাতে সৈকত আলির তাণ্ডব। তবুও বরিশালকে ১৫০ রানে থামিয়ে ১ রানে জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা।

মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পেলেও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান জড়ো করে কুমিল্লা। ২১ বলে অর্ধশতক হাঁকানো নারাইন ২৩ বলে ৫টি করে চার-ছক্কায় ৫৭ রান করে বিদায় নিলে খেই হারায় কুমিল্লা।

তবে মঈন আলীর ৩২ বলে ৩৮ ও আবু হায়দার রনির ২৭ বলে ১৯ রানের ইনিংস দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের এনে দেয় লড়াকু পুঁজি। বরিশালের পক্ষে শফিকুল ইসলাম ও মুজিব উর রহমান দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বরিশাল শুরুতেই হারিয়ে ফেলে ফর্মে থাকা মুনিম শাহরিয়ারকে (৭ বলে ০)। তবে মুনিমের অভাব পূরণ করেন একাদশে ফেরা সৈকত আলী। ৩৪ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৮ রান করে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যান।

সৈকতের মত মারকুটে ব্যাটিং না দেখালেও চওড়া ছিল ক্রিস গেইলের ব্যাট। সাজঘরে ফেরার আগে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩১ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। সাকিব আল হাসান (৭ বলে ৭) আউট হলে শেষদিকে দায়িত্ব বর্তায় নুরুল হাসান সোহান (১৩ বলে ১৪) ও নাজমুল হোসেন শান্তর (১৫ বলে ১২) কাঁধে।

তবে সোহান-শান্ত দুজনই সাজঘরে ফেরেন দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছে। ১ রান করে আউট হন ডোয়াইন ব্রাভো। এতে ধীরে ধীরে ম্যাচ কঠিন হয়ে যায় বরিশালের জন্য। স্লগ ওভারে সুনীল নারাইনের বোলিং লড়াইয়ে ফেরায় কুমিল্লাকে।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১০ রান। উত্তেজনাপূর্ণ সেই ওভারে কুমিল্লা জড়ো করতে পেরেছে ৮ রান।