ত্রিশা‌লে সংকটে নার্সারী মালিকশ্রমিক

মমিনুল ইসলাম মমিন, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ত্রিশালে সংকটময় পরিস্থিতে রয়েছে নার্সারী ব্যবসায়ীরা। করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে নার্সারী ব্যবসাতেও। উপ‌জেলার স্থানীয় বাজারে কিছু গাছ বিক্রি হলেও দাম পাচ্ছেন না নার্সারী মলিকরা। অর্থ সঙ্কটে চারা ও কলম তৈরী করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় কাজ হারানোর আশঙ্কায় আছেন শ্রমিকরা। করোনার কারণে লকডাউন ও ক‌ঠোর বি‌ধি‌নি‌ষেধ থাকার কর‌ণে বেচা-কেনা নেই বললেই চলে। ফলে কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন নার্সারীর সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা। নার্সারী মা‌লিক মিজানুর রহমান মিলন ব‌লেন, অর্থ সংকটে নার্সারির পরিচর্যা ঠিকমত হচ্ছে না। ফলে নষ্ট হতে বসেছে চারা। শ্রমিকদের খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। সরকারি সহযোগিতা ছাড়া নার্সারি টিকিয়ে রাখা কষ্ট হবে।

‌তি‌নি আরও জানান, আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে অল্প কদটি রেইন‌টি গা‌ছের চারা দি‌য়ে শুরু ক‌রা নার্সারী‌তে এখন প্রায় ১২ লাখ টাকার গাছের চারা র‌য়ে‌ছে। নার্সারী‌তে বিড়ল প্রজা‌তির বট বনশাই র‌য়ে‌ছে। য়ার মূল‌্য ৫০ হাজার টাকার উপ‌রে। এছাড়ও ৫শতা‌ধিক জা‌তের ফলজ, বনজ, ঔষধী গা‌ছের চারা র‌য়েছে নার্সারী‌তে। এসব গাছ‌ দেখ‌তে নার্সারী‌তে দর্শনার্থী আস‌তো। যা এখন ক‌রোনার কারণে বন্ধ র‌য়ে‌ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ও সরকা‌রি-বেসরকা‌রি প্রতিষ্ঠা‌নে নানান প্রজাতির চারা গাছ সরবরাহ করা হতো। ক‌রোনার প্রকোপে এখন তা বন্ধ আ‌ছে। দে‌শে লকডাউন ও ক‌ঠোর বি‌ধি‌নি‌ষেধ থাকার কর‌ণে বেচা- কেনা হ‌চ্ছে না। যার ফ‌লে ক্ষ‌তির মু‌খে পড়‌তে হ‌চ্ছে।

উপ‌জেলা কৃ‌ষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শো‌য়েব আহ‌মেদ জানান, নার্সারী প‌রির্চযার ক্ষে‌ত্রে বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়ে মা‌লিকদের সহ‌যোগীতা করা হয়। ক‌রোনা কালীন সময়ে সরকারি ভাবে নার্সারী মা‌লিক শ্রমিক‌দের কোন প্রনোদনা দেওয়া হয়‌নি।