জামালপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতার জমি দখলের অভিযোগ!

এমরান হোসেন, জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ ও যুবদলের নেতা মিলে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার জমি বেদখলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা হলে আদালতের আদেশও অমান্য করছেন অভিযুক্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর সদর উপজেলার ১০নং শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর কুমারিয়া গ্রামে।

অভিযুক্ত দুজন হলেন শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল বাশার বাষন এবং ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সরেজমিন পরিদর্শন ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মকবুল হোসেন পৈত্রিকসূত্রে শ্রীপুর কুমারিয়া মৌজার ৬৮.৫০ শতাংশ জমি পান। এরপাশে তিনি আরো ৮১.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। (উভয় জমির আর ও আর খতিয়ান নং ৫৩, দাগ নং ১৬৮৭, বি আর এস খতিয়ান ১৩৫৪, দাগ নং ৬৪৭৩ ও ৬৪৭৫)। ওই জমি ও বসতবাড়ির মাঝ বরাবর সরকারি রাস্তা থাকায় যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। একই গ্রামের মৃত নবীর উদ্দিন ওরফে নবী মেম্বারের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বাষন ও আবুল খায়ের খয়রাতের ছেলে ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন যোগসাজশে ২০১৯ সালে ওই জমির ভুয়া নাম-খারিজ করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মকবুল হোসেন উপজেলা ভূমি অফিসে লিখিত অভিযোগ দিলে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নির্দেশে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ঈমান আলী ও কানুনগো রওশন আলী তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পান এবং নাম-খারিজ আইনানুসারে বাতিল বলে প্রতিবেদন দেন। পরে স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেয়।

এদিকে জবর দখলকারীরা আদালতে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন এবং বিজ্ঞ আদালত বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ ও মকবুল হোসেনের পক্ষে ডিক্রি দেন।

ভুক্তভোগী মকবুল হোসেন জানান, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত আমার খাজনা-খারিজ পরিশোধ। অবৈধ দখলকারীরা জমি সংক্রান্ত আইনি লড়াইয়ে হেরে উল্টো থানায় ৩টি জিডি ও আদালতে ১টি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। এছাড়া তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পাওয়ায় প্রভাবশালী কিছু চক্রের সহায়তায় ওই জমিতে মাটি ফেলে পুণরায় দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত বলেও তিনি জানান।

এব্যাপারে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আবুল বাশার বাষন অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে জানান, তার সাথে আমার জমি নিয়ে কোনো বিরোধ নেই।

জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম খান বলেন, বিরোধপূর্ণ জমিতে মাটি কাটা নিয়ে কারো কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।