এন্ড্রু কিশোর আর নেই

দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী ও প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর আর নেই। সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কিংবদন্তি এই গায়ক। সেখানে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে ৯ মাস পর গত ১১ জুন দেশে ফেরেন এন্ড্রু কিশোর। এর আগে সন্ধ্যায় তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতির কথা জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছিল। দেশে ফোরার পর এই প্লেব্যাক সম্রাট রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান এলাকায় থাকা তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের বাসায় ছিলেন। শরীরে নানা ধরনের জটিলতা নিয়ে এন্ড্রু কিশোর অসুস্থ অবস্থায় গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা নামের ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। এই কয়েক মাস ধরে সিঙ্গাপুরে তাঁর চিকিৎসা চলে। ১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’ সিনেমার মধ্য দিয়ে প্লেব্যাকে যাত্রা শুরু করেন এন্ড্রু কিশোর। এরপর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় ও কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। এ দেশের গানের কিংবদন্তি পুরুষ এন্ড্রু কিশোর। তার মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গন তথা দেশের শোবিজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।