অপকর্মের শীর্ষে কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু!

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কামরাঙ্গীরচর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এইচ মাসুদ (মিন্টু)র অপকর্ম তার নিত্যদিনের ঘটনা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তিনি এখন এলাকার ত্রাস, তার বিরোধিতা করা মানেই হামলা-মামলার শিকার হওয়া। মিন্টুর অপকর্ম আর অবৈধ কাজ এখন সবার শীর্ষে।

মিন্টু তার নামের পাশে ছাত্রলীগের পদ লাগিয়ে করে চলেছে একের পর এক এসব অপকর্ম। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে কোনো বিবাহিত, অছাত্র,মাদকসেবি, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ,টেন্ডারবাজ ইত্যাদি ছাত্রলীগের কোনো পদে পদন্নোতি হতে পারবেনা বলে উল্লেখ থাকা সত্যেও মিন্টু সাধারণ সম্পাদক পদে এখনো বহাল আছে তা জনমনে ও রাজনৈতিক প্রাঙ্গণে আলোচনার কেন্দ্রবৃন্দে। এম এইচ মাসুদ (মিন্টু) এর বিরুদ্ধে প্রমাণ সহকারে যে সকল অভিযোগ গুলো উঠে এসেছে তা হলো মিন্টু বিবাহিত, মাদকাসক্ত, তার রয়েছে একাধিক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক, তিনি এখন চালাচ্ছে বিয়ারের রমরমা ব্যবসা, চাঁদা না দেয়ায় নিরীহ এক নারির উপর হামলা ও তার কারখানা ভাংচুর করা সহ তার বিরুদ্ধে রয়েছে কামরাঙ্গীরচরে একাধিক মামলা।

মিন্টুর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে সাবেক মন্ত্রী ঢাকা-২ আসনের সাংসদ কামরুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি মিন্টুর উপর ক্ষিপ্ততা প্রকাশ করেন এবং তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবার কথা বলে তাকে বহিষ্কারের আহবান জানান।
পরবর্তীতে কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন সরকার ও সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান মাদবরকে ফোন করলে তারা মিন্টুর বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ গুলোকে সত্য বলে দাবি করেন এবং তাদের সাথে বর্তমান ছাত্রলীগের দূরত্ব অনেক বেশি বলে আমাদের স্ট্যাফ রিপোর্টেরকে জানান। সাথে তারা উভয়ে মিন্টুকে বহিষ্কারের দাবি তুলেন।
মিন্টুর রয়েছে ৫৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সাথে সুসম্পর্ক। তাকে স্যালটার দাতা হিসেবে নাম উঠে আসে কাউন্সিলর নূরে আলম চৌধুরীর। সে সুবাদে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কে ফোন করা হলে তিনি জানান মিন্টুর সাথে আমার কোনো রক্তের সম্পর্ক নাই সে আমাকে নানা বলে ডাকে সে সুবাদে আমার সাথে ওর পরিচয় এর বেশি কিছু না। পরে তার কাছে মিন্টুর বিরুদ্ধে উঠে আশা অভিযোগ গুলো তুলে ধরলে সে বেশ কিছু অভিযোগের সাথে একমত প্রকাশ করেন এবং এমপি ও সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের সাথে একমত প্রকাশ করে সেন্ট্রাল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের প্রতি মিন্টুর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।