পদ হারানো ডাঃমুরাদ হাসান আমন্ত্রন পায়নি নীজ জেলার সম্মেলনে

সরিষাবাড়ি, প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকালে এই সম্মেলনে অতিথিদের তালিকায় আমন্ত্রণ পাননি সদ্য প্রতিমন্ত্রিত্ব হারানো সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানের।
জানা যায়,  দীর্ঘ ৭ বছর পর সরিষাবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। শনিবার বিকালে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে জেলা-উপজেলাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অতিথি করা হলেও সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান এমপিকে অতিথি করা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান,  জেলা ও উপজেলার নেতাদের সঙ্গে নানা অজুহাতে বিরোধ সৃষ্টি করেছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডাঃমুরাদ হাসান।প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নিজের মতো চলাচল করেছেন। সম্পর্ক ছিলো না জেলা ও উপজেলার সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে। নিজের তৈরী করা কিছু হাইব্রিড ফেসবুক মার্কা কর্মী নিয়ে চলতেন তিনি।বিভিন্ন বেফাঁস কথাবার্তা ও আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্যহন ডাঃমুরাদ হাসান।পরে জেলা ও উপজেলার দলীয় পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এ কারণে সরিষাবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তাকে অতিথি করা হয়নি।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ। এতে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু জাফর আহাম্মেদ শিশা, সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান হেলাল, পৌর মেয়র মো. মনির উদ্দিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু প্রমুখ।
সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ছানোয়ার হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ মো. হারুন-অর-রশিদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় পুনরায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন মিজানুর রহমান মিজান।