লিটন-মুশফিকের রেকর্ড পার্টানারশিপে বাংলাদেশের বিশাল সংগ্রহ

এই আমার দেশঃ

বুধবার টস ভাগ্য বাংলাদেশের পক্ষে না গেলেও শুক্রবার আর তা হয়নি। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেও অবশ্য দেরি করেননি তামিম ইকবাল। প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের ৮৫ রানের ওপর ভর করে স্বাগতিকরা স্কোরবোর্ডে রান তোলে ৩০৬।

সাগরিকা’ খ্যাত চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। লিটন দাসের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে এনে দেন ৩৮ রান। ২৪ বলে ১২ রান করে ফজলহক ফারুকির বলে এলবিডব্লিউ হলে ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান।

তবে সাকিবও থিতু হতে পারেননি। রশিদ খানের এলবিডব্লিউর শিকার হওয়ার আগে ২০ রান করেন ৩৬ রানের মোকাবেলায়। দলীয় ৮৩ রানে সাকিব ফিরলে দলের হাল ধরেন লিটন ও চার নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিম।
তৃতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ২০২ রানের পার্টনারশিপ, যা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপের রেকর্ড। অনিন্দ্য সুন্দর এই জুটি ভাঙে লিটনের বিদায়ে। তার আগে তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতক। ১২৬ বলের মোকাবেলায় ১৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৩৬ রান করেন লিটন।
লিটন ছাড়া কেউ অবশ্য ছক্কা হাঁকাতে পারেননি। তবে মুশফিকুর রহিম ছিলেন বেশ উজ্জ্বল। যদিও হাতছাড়া করেছেন শতকের সুবর্ণ সুযোগ। লিটন বিদায় নেওয়ার পরের বলে তিনিও ফরিদ আহমেদের শিকার হন। তবে তার আগে ৮৬ রান করেন ৯৩ বলের মোকাবেলায়, হাঁকান ৯টি চার। লিটন ও মুশফিকের বিদায়ে রানের গতি শ্লথ হয়ে যায়।
শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০৬ রান। শেষ ২১ বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব সংগ্রহ করতে পেরেছেন ২১ রান। রিয়াদ ৯ বলে ৬ ও আফিফ ১২ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।