নবীগঞ্জে সহযোগীকে ধর্ষণের সুযোগ না দেয়ায় প্রেমিকাকে হত্যা দায় স্বীকার ৭২ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সহযোগীকে ধর্ষণের সুযোগ না দেয়ায় প্রেমিকা জুবা আক্তার (১৭) কে শ্বাসরোধ ও গলা কেটে হত্যা করেছে প্রেমিক ও তার সহযোগী। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার মাত্র ৭২ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই এরইমধ্যে প্রেমিক খলিল উদ্দিন ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের দোষ স্বীকার করে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক’র আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ঘাতক প্রেমিক খলিল উদ্দিন (২০) নিহত প্রেমিকা জুবা আক্তার (১৭) উপজেলার বাগাউড়া গ্রামের ছুফি মিয়ার কন্যা।

প্রেমিক খলিল উদ্দিন পার্শ্ববর্তী হরিনগর গ্রামের মিরাশ উদ্দিনের পুত্র গ্রেফতারকৃত অন্য আসামী গোলাম হোসেন (৫০) একই গ্রামের মৃত এরশাদ উল্ল্যাহর পুত্র।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন হবিগঞ্জ পিবিআই’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আহাদ জানান, গত (২৭-ডিসেম্বর) সকালে নবীগঞ্জ থানাধীন বড় ভাকৈর পুর্ব ইউপির অন্তর্গত বাগাউড়া এলাকায় জমিতে গলাকাটা ও হাত পা বাঁধা এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।

পরদিন (২৮ ডিসেম্বর) জুবা আক্তারের পিতা ছুফি মিয়া নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। (২৯ ডিসেম্বর) মামলাটি তদন্তের জন্য দেয়া হয় পিবিআইয়ে তদন্ত পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আসামী শনাক্ত করা হয় এরই প্রেক্ষিতে (৩০ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রেমিক খলিল উদ্দিন ও তার সহযোগী গোলাম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আহাদ বলেন, জুবা আক্তার তার ছদ্মনাম পরিচয় ব্যবহার করে খলিল উদ্দিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে।

বেশ কয়েকবার তারা দৈহিক সম্পর্কেও মিলিত হয়। হত্যাকান্ডের আগের দিন জুবা তার অসুস্থতার কথা বলে খলিলের কাছে দুই হাজার টাকা ধার চায়। রাতে তাদের দেখা করে টাকা নেয়ার কথা হয়। এরই মধ্যে সন্ধ্যায় গোলাম হোসেনের সাথে দেখা হয় খলিলের। এসময় এসব কথা খলিল তাকে জানালে গোলাম নিজে তার সাথে যাওয়া ইচ্ছে পোষণ করে এক পর্যায়ে রাতে জুবা ও খলিল দেখা করে এসময় আড়ালে লুকিয়ে থাকে গোলাম হোসেন। এদিনও দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হয় খলিল ও জুবা পরে গোলাম হোসেনও জুবার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য বললে এতে অস্বীকৃতি জানায় সে আর এতে করে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।

প্রেমিক খলিলও জুবাকে মেলামেশা করার জন্য অনুরোধ করে কিন্তু তাতেও রাজি হয়নি সে পরে জুবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওড়না দিয়ে পেচিয়ে শ্বসারোধ ও গলাকেটে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ড শেষে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ইনভেস্টিগেশন হবিগঞ্জ পিবিআই’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আহাদ জানান, গত (২৭-ডিসেম্বর) সকালে নবীগঞ্জ থানাধীন বড় ভাকৈর পুর্ব ইউপির অন্তর্গত বাগাউড়া এলাকায় জমিতে গলাকাটা ও হাত পা বাঁধা এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয় পরদিন (২৮ ডিসেম্বর) জুবা আক্তারের পিতা ছুফি মিয়া নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। (২৯ ডিসেম্বর) মামলাটি তদন্তের জন্য দেয়া হয় পিবিআইয়ে। তদন্ত পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আসামী শনাক্ত করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে (৩০ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রেমিক খলিল উদ্দিন ও তার সহযোগী গোলাম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের পর তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল আহাদ বলেন জুবা আক্তার তার ছদ্মনাম পরিচয় ব্যবহার করে খলিল উদ্দিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। বেশ কয়েকবার তারা দৈহিক সম্পর্কেও মিলিত হয় হত্যাকান্ডের আগের দিন জুবা তার অসুস্থতার কথা বলে খলিলের কাছে দুই হাজার টাকা ধার চায় রাতে তাদের দেখা করে টাকা নেয়ার কথা হয়। এরই মধ্যে সন্ধ্যায় গোলাম হোসেনের সাথে দেখা হয় খলিলের এসময়
এসব কথা খলিল তাকে জানালে গোলাম নিজে তার সাথে যাওয়া ইচ্ছে পোষণ করে।

এক পর্যায়ে রাতে জুবা ও খলিল দেখা করে এসময় আড়ালে লুকিয়ে থাকে গোলাম হোসেন এদিনও দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হয় খলিল ও জুবা। পরে গোলাম হোসেনও জুবার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য বললে এতে অস্বীকৃতি জানায় সে আর এতে করে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। প্রেমিক খলিলও জুবাকে মেলামেশা করার জন্য অনুরোধ করে কিন্তু তাতেও রাজি হয়নি সে। পরে জুবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওড়না দিয়ে পেচিয়ে শ্বসারোধ ও গলাকেটে তাকে হত্যা করা হয় হত্যাকান্ড শেষে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।