৬টা ঘুঘু থেকে এখন ৫০০ ঘুঘু মালিক মমিনুল ইসলাম

খোরশেদ আলম, ঢাকা জেলা প্রতিনিধি: ঢাক উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ার স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভাদাইল এলাকায় ছয়তলা একটি ভবনের ছাদে গড়ে উঠেছে ঘুঘুদের আস্তানা। ঘুঘুদের কিচিরমিচির শব্দে আর ছোটাছুটিতে ভোরের ঘুম ভাঙ্গে এই ভবনের আশপাশের বাসিন্দাদের।
ঘুঘুর ফর্মের  মালিক মমিনুল ইসলাম বলেন, শখের বশে বেড়াতে গিয়েছিলাম খুলনায়। যাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম সেই বন্ধুর এক জোড়া ঘুঘু আমাকে গিফট করেছিল, সেই ঘুঘু জোড়া বাড়িতে নিয়ে এসে তাদের জন্য ছোট্ট একটি খাঁচায় তৈরি করি। সেই খাঁচাতেই রাখা হয় ঘুঘু দুটিকে। পরবর্তীতে টঙ্গী থেকে আরও দুই জোড়া ঘুঘু নিয়ে আসি। মোট ছয়টা ঘুঘু দিয়ে শুরু হয় আমার জীবনের ঘুঘু পালনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন।
ধীরে ধীরে যখন ঘুঘুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে তখন আমার বাড়ির ছাদের উপরে আলাদা একটি শেড তৈরি করি। তাদের ঘোরাফেরা আর হৈ-হল্লা কিচিরমিচির ঢাকা ডাকির জন্য ছাদে লাগিয়েছি একটি পেয়ারা গাছ। গাছে বসেই কিচিরমিচির শব্দ করে আর ছোটাছুটি করে। এখন আমার খামারে চারটি প্রজাতির ঘুঘু আছে।   ৫০০ টিও বেশি ঘুঘু রয়েছে এই খামারে  ।  সর্বনিম্ন একজোড়া ঘুঘুর দাম রয়েছে ১২০০ থেকে শুরু করে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত ।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে শখের বশে ঘুঘু পালন শুরু কররেও এখন এটা আমার পেশা হয়ে দাড়িয়ে। সকাল হলেই তাদের কথা মনে পড়ে যায়, দুই ঘণ্টা মধ্যে খাবার দিয়ে পরিষ্কার করে রাখি। আবার বিকেলে দুই ঘন্টা সময় দেই। ঘুঘুর খাবার লাগে মাসে ৯০ থেকে ১১০ কেজি খাদ্য লাগে। খাবারের দাম আনুমানিক বাজার মূল্য ২৫ শ থেকে ৩৫ শ টাকা।
মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ঘুঘুর খাবার সহ যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে এখন মাসে আমার ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে।
ঘুঘু পালনের বিষয়ে জানতে চাইলে মমিনুল ইসলামের বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, অনেক ছোটকাল থেকেই তার পাখি পালনের শখ ছিল, কোথাও বেড়াতে গেলে রাস্তার পাশে গাছের দিকে তাকিয়ে থাকতো, আর পশু পাখি দেখতো। আল্লাহ তায়ালা তার শখ পূরণ করেছে আমরাও খুশি।
এখান থেকে যে কয় টাকা আয় হয় এটা আমরা নেই না আমার একটা ছোট ভাতিজি আছে সে তার ব্যাংকে জমা রাখে।