৫ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের তালিকায় মিনিষ্টার গ্রুপ মানবতার সেবায় এম. এ রাজ্জাক খান রাজ

মৌমিতা মাসিয়াৎ : নীল আর মেঘলা সাদা পশ্চাৎপটে ভরে ওঠা কৃষ্ণচূড়া গাছ কে দেখেছি, বেশ কয়েকবারই… অসম্ভব রঙিন লাগে, রং হল মানুষের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না৷ সুদীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে মানুষের সুখ, সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না নিয়েই আমার জীবন কাটে। সেই অনুসন্ধিৎসু জীবনে Onomastics নিয়ে আমার একটু আগ্রহ আছে। অনেক বছর আগে লিখেছিলাম, Onomastics: What is in a name. একবার দেশের বাইরে বেড়াতে গিয়েও চমকে উঠলাম। রিটেলার দোকানের নাম, Banana Republic. প্রশ্ন করলাম এ আবার কেমন নাম !

মিনিষ্টার গ্রুপের পণ্য পরিদর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভেবেছিলাম এটা কি synecdoche না কি metonymy?
দোকান এবং পণ্যের নাম রাখার ক্ষেত্রে যে নেমিং কনভেনশন আছে তার কোনটায় পড়ে? ভাবছিলাম Banana Republic নামটা কে coin করেছিল? এই প্রশ্নটা মাথায় আসতেই খোঁজ শুরু করলাম। ইউরেকা ! O. Henry did coin this name. যখন ও’হেনরী Honduraus এ ফেরারি জীবনে লুকিয়ে ছিল, একটা গল্প লিখেছিল, “Cabbages and Kings” ওখানেই Banana Republic কথাটা O Henry ব্যবহার করেছিল। ‘মিনিষ্টার’ শব্দটিও তেমনি আমার স্পৃহা বাড়িয়ে দিয়েছিল। তখন করোনামারীতে গোটা বিশ্ব ভীত-শংকিত, আমার প্রিয় চুয়াডাঙ্গার অবস্থাও ভালো ছিল না। ‘ভালো নেই চুয়াডাঙ্গা’ শিরোনামে দৈনিক এই আমার দেশ পত্রিকায় একটি মানবিক স্টোরি করেছিলাম। সেখানে সুকান্তের ভাষায় আমাদের আহবান ছিল ‘হে মহামানব একবার এসো ফিরে, শুধু একবার চোখ মেলো এই গ্রাম নগরের ভীড়ে।’ -আমাদের আহবানে সাড়া দিয়ে চুয়াডাঙ্গার প্রতিষ্ঠিত মানুষদের অনেকে করোনাকালে ছুটে গিয়েছিল চুয়াডাঙ্গার পাশে। সেদিন ‘জীবন-মৃত্যকে পায়ের ভৃত্য’ করে’ চুয়াডাঙ্গায় নিজের প্রাসাদাপোম বাড়িটিকেই করোনা হাসাপাতাল বানিয়ে, সার্বক্ষণিক ডাক্তার রেখে, ঔষধপত্র সরবরাহ করে- ঘরের বাইরে না বেরুতে পারা অনাহারী মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়ে, দুঃখে অনভিভূত হয়ে নগদ অর্থ সাহায্য দিয়ে, তিন বেলা খাবার দিয়ে– যে মানুষটি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন সেই বিনীত ভালোমানুষটিই হচ্ছেন ‘মিনিষ্টার’ গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ। যে বিনে পয়সার হাসপাতালটি এখনও চুয়াডাঙ্গার মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। হাসপাতালটির তত্ববধান করছেন বরণ্যে চিকিৎসক চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএমএর প্রেসিডেন্ট ডা. মার্টিন হিরক চৌধুরী। তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাবার জন্যেই অলোকদাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম মিনিষ্টার গ্রুওপর প্রধান কার্যালয় গুলশানে। বিনয়ী, নিঃস্বার্থ, নিরহংকার, পরোপকারী এই মানুষটির সংস্পর্শে এসে মুগ্ধতা থেকেই নিজের ভেতর আগ্রহ জন্মেছিল তার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘মিনিষ্টার’ কেন? সেই আগ্রহ মিটলো গতকাল। তিনি নিজেই এক পত্রিকাকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, প্রথম দিক থেকেই আমরা আরও একটি নাম খুঁজছিলাম যা আমাদের সাধারণ মানুষের আরও কাছে নিয়ে যাবে। তখন ‘মিনিস্টার’ নামটা আমাদের খুব পছন্দ হয়। এর অর্থ মানুষের জন্য কাজ করা। আর প্রেসিডেন্ট নামের তো একটি ব্র্যান্ড ইতোমধ্যে প্রসিদ্ধ। তাই আমি ভেবেছি মিনিস্টার নামটি আমাদের জন্য পারফেক্ট। এটাই আমাদের ব্যবসার মটো। তাই এই নামই দিয়েছি। এখন আমাদের ‘মিনিস্টার হাইটেক পার্ক লিমিটেড’নামের প্রতিষ্ঠানটি দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে।’


এম এ রাজ্জাক খান রাজ আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই বার আমাদের প্যাভেলিয়নে এসেছিলেন। দুই বারই তিনি আমাকে একই প্রশ্ন করেছিলেন, ‘মিনিস্টার নামটা দেওয়ার কারণ কি?’ প্রধানমন্ত্রীকেও আমি একই উত্তর দিয়েছি, উনি আমার উত্তরে হেসে দিয়েছেন। তিনি আমাদের ব্র্যান্ড নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী এবং আমাদের ব্র্যান্ড দেশের বাহিরে এক্সপোর্ট করার কথাও বলেছেন। ‘মিনিষ্টার’ নামের এই উৎসটি খুঁজে পেয়েও আমিও জয় করার আনন্দ পেয়েছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে মিনিষ্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ ও তার সহধর্মীনির পারিবারিক সাক্ষাৎ

বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘মিনিস্টার হাইটেক পার্ক লিমিটেড’। ২০০২ সালে উদ্যোগের শুরু। মাত্র পাঁচ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন এম এ রাজ্জাক খান। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ১৫শ বর্গফুটের একটি ভাড়া বাসায় পাঁচজন কর্মী আর নিজের শ্রম মিলে যাত্রা শুরু । প্রথম দিকে খুচরা যন্ত্রপাতি কিনে তা দিয়ে ১৪ ও ১৭ ইঞ্চি সাদা-কালো টেলিভিশন তৈরি করে বাজারজাত করেন। কালের পরিক্রমায় দেশীয় এ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে সরাসরি জড়িত পাঁচ হাজার সদস্যের একটি পরিবারে পরিণত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠাতা এম.এ.রাজ্জাক খান রাজের নেতৃত্বে মাইওয়ান থেকে জন্ম নিয়েছে ‘মিনিস্টার হাইটেক পার্ক লিমিটেড’। দীর্ঘ এই পথ চলা কেমন ছিল?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলে দুবাইতে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে মিনিষ্টার গ্রুপরে চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ।

এম এ রাজ্জাক খান রাজ : আমি বাংলাদেশে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমাই। সেখানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম জব শুরু করি। যেখানে আমি পার্টটাইম জব করতাম সেখানে একজন সিঙ্গাপুরিয়ান ছিলেন। তিনি বাঙালিদের সঙ্গে কারণে-অকারণে খারাপ ব্যবহার করতেন। আমিও তার খারাপ আচরণের শিকার হয়েছিলাম। এ বিষয়টি আমার মধ্যে জেদ তৈরি করেছিল। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিই যে বাংলাদেশে ফিরে দেশীয় ব্র্যান্ড শুরু করব। যেন দেশের মাটিতে দেশের প্রোডাক্ট তৈরি করা যায়। সেই আলোকেই আমার মাথায় আসে সাদা-কালো টেলিভিশনের আইডিয়া। সে সময় টেলিভিশনের ভালো চাহিদা ছিল। আমার লক্ষ্য ছিল সুলভ মূল্যে সবার কাছে টেলিভিশন পৌঁছে দেওয়া। এভাবেই নিজের ব্যবসায়িক জীবনের শুরু হয় আমার।

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করলেন কীভাবে?
এম এ রাজ্জাক খান রাজ : তখন টেলিভিশনের কিছু ত্রুটি ছিল, যেমন কম ভোল্টেজ হলেই স্ক্রিন ছোট হয়ে আসত। এসব ত্রুটি দূর করার পাশাপাশি তখন ওয়াইড ভোল্টেজ রেঞ্জ এবং সাউন্ড সিস্টেমের ডেভেলপ করে তা বাজারজাত শুরু করি আমি। মার্কেটে যে প্রাইস আছে তার থেকে অল্প দামে বিপণন করতে থাকি। যা আমাকে সফলতা দিয়েছে। এরপর মিনিস্টার গ্রুপের যাত্রা শুরু হয় ২০০২ সাল থেকে। রঙিন টেলিভিশন সে সময় প্রচলিত, তাই একটা চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিল। প্রতি এক বছর পরেই আমার রঙিন টেলিভিশন নিয়ে চিন্তা শুরু করি। অ্যাসেম্বল শুরু করি। খরচ কমিয়ে উন্নতমানের টেলিভিশন তৈরিতে মনোযোগী হই।

নিজেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় ইলেক্ট্রনিক ব্যবসায় সুবিধা কী পেলেন?
এম এ রাজ্জাক খান রাজ : অনেক। আমি রাত- দিন কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে শুরু করেছিলাম এবং সেভাবেই কাজ করি। স্বল্প মূল্যে উন্নতমানের পণ্য সবার হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যেতে থাকি। দেশের বাইরে পড়াশোনা ও কাজ করার সময় আমি যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলাম তা কাজে লাগিয়েই আজ সফল হয়েছি। ফজরের নামাজ পড়ে কাজ শুরু করতাম। একদম শেষ রাত অবধি কাজ করেই যেতাম। আমার নেশা ধ্যান জ্ঞান সবই ছিল আমার প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে। পণ্য তৈরি থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণ, সবই আমাকে দেখতে হতো। এভাবেই যাত্রার শুরু থেকে প্রথম মাসে আমাদের টার্গেট ছিল ৩০০ পিস বিক্রি করা। প্রতি দিন ১০ পিস করে। সেটা পূরণ করতে সক্ষম হই।

এক্সপোর্টে যাচ্ছেন?
‘কোভিড-১৯’ পরিস্থিতির আগে আমরা ব্যাপকভাবে কাজ করেছি এক্সপোর্টে যাবার জন্য। কিন্তু করোনা আক্রমণের ফলে আসলে সব ধরনের ব্যবসায়ী কার্যক্রমই থেমে গিয়েছিল। কিন্তু এর আগে তুরস্ক থেকে ১০ সদস্যের একটি বড় টিম আমাদের ফ্যাক্টরি ভিজিট করে গিয়েছে। এছাড়াও আমি নেপাল, আয়ারল্যান্ড, দুবাই, যুক্তরাষ্ট্র এর মত দেশগুলোতেও এক্সপোর্ট নিয়ে কাজ করেছি। আমরা সকল ধরনের প্রস্তুতির কাজ শেষ করেছি। বর্তমানে আমরা দশ হাজার লোকের কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।

ভবিষ্যত লক্ষ্য?
এম এ রাজ্জাক খান রাজ : আমাদের লক্ষ্য আগামী ১০ বছর অর্থাৎ ২০৩০ সাল নাগাদ ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করব। পারিবারিকভাবেই আসলে আমার ব্যবসায়ী হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। আমার দাদা ব্যবসায়ী ছিলেন দাদার থেকে এই ধারা আমার বাবার মাঝে আসে এবং তারপর পারিবারিক ধারাটা আমি অব্যাহত রেখেছি। আমার ব্যবসায়িক রোলমডেল আমার বাবা, আমি ওনাকেই অনুসরণ করি। আর আমাদের মন্ত্রী পরিষদের অনেকেই আমাকে বিভিন্ন জায়গায় অনেকভাবে সাহায্য করেছেন এবং পথ প্রদর্শক হিসেবে পাশে থেকেছেন।’

-রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হবেন?
এম এ রাজ্জাক খান রাজ : আমার জীবনের শুরু থেকেই আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত। আমি স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবর্ষে থাকা অবস্থায়ই ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। আমি সবসময়ই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে গিয়েছি। এছাড়া ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ সহ সকল নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর পক্ষ থেকে প্রচারণায় প্রত্যক্ষভাবে আমি অংশগ্রহণ করেছি। ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের নমিনেশন প্রত্যাশী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন আপা ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সাংসদ। আমার নিজের ইচ্ছে আছে একসময় নির্বাচন করব। দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। এখন বাকিটা আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা।’

এম এ রাজ্জাক খান রাজ আরো বলেন, আমি আমার দেশীয় ব্র্যান্ড নিয়ে মানুষের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কাজ কর্মের মাধ্যমে আমি নিজেকে মানুষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতেও আমি রাজধানীসহ আমার আবাসস্থল উত্তরা, বন্যাদুর্গত এলাকা এবং আমার এলাকা চুয়াডাঙ্গায় প্রচুর পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করেছি। এর পাশাপাশি বিনামূল্যে মিনিস্টারের উৎপাদিত মাস্ক, স্যানিটাইজারের মত বিভিন্ন সুরক্ষা পণ্য বিতরণ করেছি। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ডিজইনফেক্ট বুথ স্থাপন করেছি। এছাড়াও বিগত সময়ে দেশের মানুষের জন্যে সরকারের সাথেও কাজ করেছি এবং করে যাচ্ছি।

এছাড়া মিনিষ্টার গ্রুপ ক্রেতাদের সহজ, ঝামেলাবিহীন এবং দ্রুততম সময়ে ভালো পণ্য উপহার দেওয়ার লক্ষ্যেই মানসম্মত পণ্যসম্ভার নিয়ে শিগগিরিই চালু করছে ই-কর্মাস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-রাজ’ সেবা। যেখানে ঘরে বসেই ক্রেতারা সহজেই মিনিস্টারের ইলেকট্রনিক পণ্য ছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।’ সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ই-রাজ’ নামের এ প্ল্যাটফর্মের লোগো উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ইন্ডিয়ান ওশান রিম বিজনেস ফোরাম (আইওআরবিএফ) এবং ডি-৮ সিসিআইয়ের চেয়ারম্যান এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

দেশে বিদেশে ব্যবাসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গেও তার রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সহ সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছেন মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ।

খেলাধূলাতেও রয়েছে এম এ রাজ্জাক খান রাজ ও মিনিষ্টার গ্রুপের অন্যরকম আগ্রহ এবং ভালোবাসা। ক্রিকেটে বিপিএল ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানাও মিনিস্টার গ্রুপের। এর আগে ২০২০ বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মিনিস্টার গ্রুপ প্রতিনিধিত্ব করেছিল রাজশাহীর।

চুয়াডাঙ্গার পলাশপাড়ার সন্তান এম. এ রাজ্জাক খান রাজ শৈশব থেকেই ন্যায় পরায়ণ ও নেতৃত্বসুলভ একজন মানুষ। এই গুণী ব্যাক্তি বিভিন্ন সময় দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের মহাসচিব, বাংলাদেশ টেলিভিশন মেন্যুফেকচারিং এসোসিয়শনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিলেন। করোনামারী ছাড়াও বিভিন্ন সময় বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণ, রানাপ্লাজায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান সহ বিভিন্ন ভাবে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে গেছেন আপ্রাণ।
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য .. এই কথার সারমর্মতা এখনো বেঁচে আছে এম. এ রাজ্জাকের মতো মহানুভব মানুষের মধ্য দিয়ে। এমন করেই বাংলার বুকে এম. এ রাজ্জাক খান রাজরা বেঁচে থাকুক, উজ্জীবিত হোক নতুন উদ্দ্যোমে এমনটাই প্রত্যাশা চুয়াডাঙ্গাবাসীরও।