৪৭ বছরে এই নির্বাচন আগের চেয়ে ভালো হবে

আমান-উদ-দৌলা : নিরীক্ষা-জার্নাল, গ্রাজুয়ালী আগের চাইতে এবারের এই নির্বাচন। একটু ভালো হতে যাচ্ছে বলে মনে হয়। সমস্যাতো আছেই অনেক। শেখ মুজিবের আমলের চাইতে অন্তত ভালো। ( তখন ড. কামাল তার সঙ্গে ছিলেন। তখন কিছুতো বলেন নাই।)

( জাসদের বক্তব্য অনুসারে, তাদের ২০ হাজার তরুণকে লাশে পরিণত করেছে। তৎকালীন মুজিব-বাদী অস্ত্রধারী ও রক্ষী বাহিনী। আমার ধারনা কয়েক শত হবে।)

জিয়ার আমলে হা-না ভোটের আমলের চাইতে অন্তত ভালো। (লোক-জন ভোট দিতে যেতো কম। পার্টির লোক-জন বিপুল হারে ভোট দেয়। কোনো কোনো বাক্সে ৯৯% ভোট দিয়ে দেয়।) বেগম জিয়া আর শেখ হাসিনার আগের আমলের চাইতে আর একটু ভালো।

( ৯১ সালে প্রথম শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন শুক্ষ্ণ কারচুপির। কারচুপি যাতে না হয় ১৯৯৬ দাবির মুখে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করলো।

কিন্তু পরাজিত হলো শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের কাছে। ২০০১-এ বিএনপি (জামাতের সঙ্গে মিলে ) সেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ক্ষমতায় আসলো।

কিন্তু ২০০৮-এ এই বিএনপি আবার পরাজিত হলো আওয়ামী লীগের কাছে। ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক তুলে নেয়। ক্ষমতাসীনের অধীনে ভোট প্রথা চালু করে।

তবে এইবার আর একটু ভালো নির্বাচন হবে বলেই আমার বিশ্বাস। নজির দেখে তাই মনে হচ্ছে।

যদিও গতকাল প্রেসক্লাবে পঙ্কজ ভট্টাচার্য এক সেমিনারে বললেন। আর্মি নামানো হবে। সমতলে তাদের ডিপ্লয়মেন্টকে স্বাগত জানানো হচ্ছে।

কিন্তু পাহাড়ে মিলিটারী উইথ-ড্র করলেই ভাল, বলছেন পাহাড়ি চাকমারা। ওখানে আর্মি এক তরফা কাজ করে যাচ্ছে।

( সেখানে আরো বক্তব্য রাখেন রামেন্দু মজুমদার। এম এম আকাশ প্রমুখ।)

অনেক খানি অসুবিধায় পড়ে আছে, আমাদের গণতন্ত্র।

তারপর-ও স্বাধীনতার পর ৪৭ বছরের ইতিহাসে। যেকোনো সময়ের চাইতে। এই নির্বাচন অনেকটা ভালো হতে যাচ্ছে। এমনটা বিশ্বাস করি। অন্তত ৫১ ভাগ ভালো নির্বাচন হবে। নাকি?