১৫ দিন ধরে সব ধরনের ফেরি বন্ধ, ব্যস্ততা নেই বাংলাবাজার ঘাটে

মোঃরোমান বেপারী, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ ১৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল। এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় কর্মব্যস্ত বাংলাবাজার ফেরিঘাটে নেই আগের মতো ব্যস্ততা।

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের অন্যতম এই নৌরুট যানবাহন এবং যাত্রীদের পদচারণায় মুখর থাকতো ২৪ ঘণ্টা। বাংলাবাজারে ফেরির জন্যই রয়েছে আলাদা ৪টি ঘাট।

রো রো, ডাম্প, কেটাইপ ও ভিআইপি ফেরি, চারটি ঘাট থেকেই যানবাহন পারাপার করতো। পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় গত ১৮ আগস্ট দুপুর থেকে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল।

ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার পর থেকেই ঘাটে ব্যস্ততা কমে গেছে যাত্রীদের। লঞ্চ চালু থাকায় শুধুমাত্র লঞ্চঘাটে যাত্রীদের দেখা গেলেও পুরো ঘাট এলাকায় কমে গেছে যাত্রীদের কোলাহল, যানবাহনের ভিড়।

সব মিলিয়ে আগের সেই ব্যস্ততা নেই বাংলাবাজার ঘাটে।

ঘাট সূত্রে জানা গেছে, দিনরাত হাজারো মানুষের কোলাহলে মুখর থাকতো এই নৌরুট। লঞ্চ, ফেরির সাইরেন, স্পিডবোটের শব্দ, গাড়ির হর্ণে ঘাট এলাকা থাকতো কোলাহল পূর্ণ। গত প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে স্পিডবোট, গত ১৪ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। চিরচেনা নিত্যদিনের কোলাহলে পূর্ণ বাংলাবাজার ঘাটটি শান্ত হয়ে আসছে ধীরে ধীরে। চারটি ফেরিঘাট ঘিরে গড়ে ওঠা খাবার হোটেল, চায়ের দোকানে ক্রেতা নেই এখন। থেমে গেছে টার্মিনালে যাত্রীদের পদশব্দ, হকারদের হাঁকডাক আর দোকানিদের ব্যস্ততা।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ, ২ শতাধিক স্পিডবোট আর ১৭/১৮টি ফেরি চলাচল করতো। এর মধ্যে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ যাত্রীর মৃত্যুর পর গত তিন মাস ধরে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে নৌরুটে। পদ্মায় স্রোতের তীব্রতা থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে গত ১৮ আগস্ট থেকে সব ফেরিও বন্ধ। এদিকে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত লঞ্চ চলছে শুধু। ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার পর এ নৌরুটে যাত্রীদের চাপ কমে গেছে।

ফেরিঘাটের এক খাবার হোটেলের কর্মচারী মো. লিটন জানান, ফেরি বন্ধ হওয়ার পর চার/পাঁচদিন হোটেল চালু ছিল। কিন্তু কাস্টমার নাই। এই ঘাটে ফেরি চালু হওয়ার সম্ভবনা না থাকায় মালিক হোটেল পুরোপুরিই বন্ধ করে দিছে।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে গত প্রায় ১৪ দিন ধরেই ফেরি বন্ধ। বিকল্প হিসেবে মাঝিকান্দি ঘাট তৈরি করা হচ্ছে। এই রুটে ফেরি চলার সম্ভবনা আপাতত নেই।