হবিগঞ্জে পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পেল দুদক

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে হয়রানি-ভোগান্তি আর অতিরিক্ত টাকা আদায়ের সীমাহীন অভিযোগ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। দালাল ছাড়া আবেদন করলে ফিরিয়ে দেয়া হয় ত্রæটিপূর্ণ বলে। ঘুরানো হয় দিনের পর দিন আবার একই আবেদন অতিরিক্ত টাকায় দালালের মাধ্যমে করলে গণ্য হয় বৈধ বলে। বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হলেও কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না দালালের দৌড়াত্ব। সংশ্লিষ্টদের হাঁক-ডাকের পরও দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্টের চাবি
এ অবস্থায় আকষ্মিক অভিযান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।

মঙ্গলবার হবিগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম। এ সময় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ যাচাই ও পাসপোর্ট অফিসে আসা সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক কর্মকর্তারা জানা যায়, দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত নথিপত্র ও তথ্য-প্রমাণ এবং মোবাইলের কললিস্ট বিশ্লেষণ করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ কমিশন বরাবর প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

এছাড়াও অভিযানে অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগেরও সত্যতা পেয়েছে দুদক। তবে অভিযানের সময় হবিগঞ্জ পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আইরিন পারভীন ডালিয়াকে কর্মস্থলে পাওয়া যায়নি। তিনি দাপ্তরিক কাজে সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে রয়েছেন বলে জানা গেছে। সেবাপ্রত্যাশীরা দুদক টিমকে অভিযোগ করে জানান, ত্রæটির অজুহাত দেখিয়ে পাসপোর্টের আবেদন নিতে দেরি করেন কর্মকর্তারা। তবে কোনো দালাল বা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে আবেদন করলে তখন ত্রæটিপূর্ণ আবেদনও গ্রহণ করা হয়।

তারা আরও জানান এজেন্সি গুলোর সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারীদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, ‘দালালের উপদ্রব বৃদ্ধিসহ ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।