হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর

নিজস্ব প্রতিবেদক : বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়, সে বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, ইতোমধ্যে তাদের সবাইকে ছাত্রলীগ বহিষ্কার করেছে। একই সঙ্গে, তাদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। এই ঘটনাকে পুঁজি করে কাউকে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে দেওয়া হবে না। বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে টিভি শিল্পী, নাট্যকার ও অনুষ্ঠান নির্মাতাদের সার্বজনীন সংগঠন এফটিপিও’র (ফেডারেশন অব টিভি প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনস) সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত, এ হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। আমরা প্রথম থেকেই এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কেউ দাবি তোলার আগেই এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এ ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হবে, তারা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়, এ জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, অতীতেও দেখেছি, কোনো ঘটনা ঘটলে একটি মহল ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালায়। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালায়। এখনো সেই চেষ্টা হচ্ছে। এটা নতুন কিছু নয়। তবে, কেউ এ ঘটনাকে পুঁজি করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করবে, সেটি হতে দেওয়া যাবে না। তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে অবশ্যই ভিন্নমত থাকবে। ভিন্নমত ছাড়া গণতান্ত্রিক সমাজ হতে পারে না। ভিন্নমত থাকবে, সমালোচনাও থাকবে। সমালোচনার জবাব সমালোচনার মাধ্যমে হয়। ভিন্নমতের জবাব নিজের মতপ্রকাশের মধ্য দিয়ে হয়। এর জবাব কোনোভাবেই আক্রমণ করে হয় না। এটা আমাদের সরকার সমর্থন করে না, দলও সমর্থন করে না। ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক কয়েকটি চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে শিবির সন্দেহে আবরার ফাহাদকে গত রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে রুমে নেয় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ বুয়েটের শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থীদের। ওই ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ গ্রেফতার দশজনকে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।