স্বদেশ ইসলামী লাইফের সিইও হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা পুনঃবহাল-মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন শাহিনের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বীমা উন্নয়নের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্বদেশ লাইফে কাজ না করার নির্দেশের পাশাপাশি নিয়োগের নবায়ন একাধিকবার নামঞ্জুর করেন ( যদিও জনাব শাহীন স্বদেশের চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ ছত্রছায়ায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অমান্য করে এখনো মাঠ পর্যায়ে সকল মিটিং এ স্বশরীরে উপস্থিত থাকেন ও ক্যাশ টাকা সংগ্রহ করেন) এবং গ্রাহকের প্রিমিয়ামের টাকা তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়ার দালিলিক প্রমাণ সাপেক্ষে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গত ১৫ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখ ৬০,৭০,৭১৭/- ( ষাট লক্ষ সত্তর হাজার সাতশত সতের) টাকা এবং ১৯ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখ ৪১,৫৬,৫০৫/- ( একচল্লিশ লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার পাঁচশত পাঁচ) টাকা সহ মোট ১,০২,২৭,২২২/- ( এক কোটি দুই লক্ষ সাতাশ হাজার দুইশত বাইশ) টাকা উক্ত দুটি চিঠির মাধ্যমে কোম্পানির ব্যাংক হিসেবে জমা করে প্রমাণসহ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য বলা হয় (যার সময়কাল ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে) এ অবস্থায় কোম্পানির স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে কোম্পানির ৪৪তম বোর্ড মিটিং এ অভিজ্ঞ বীমা ব্যক্তিত্ব জনাব জাহাঙ্গীর আলম মোল্লাকে স্বদেশ ইসলামী লাইফের সিইও হিসেবে মনোনীত করে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখে জনাব মোল্লাকে চিঠি ইস্যু করে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং থেকে কার্যকর করা হয়। জনাব মোল্লা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব ইখতিয়ার উদ্দিন শাহিনের নানা অনিয়ম প্রকাশ পেতে থাকে এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে জনাব জাহাঙ্গীর আলম মোল্লাকে জনাব ইখতিয়ার উদ্দিন শাহিন এর কাছ থেকে আত্মসাৎকৃত টাকা উত্তোলনের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। বিষয়টি জনাব মোল্লা কোম্পানির চেয়ারম্যান জনাব মাকসুদুর রহমানকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। পাশাপাশি জনাব মোল্লা সরাসরি জনাব ইখতিয়ার উদ্দিন শাহিন কেও উক্ত টাকা কোম্পানির হিসেবে জমা করার ব্যাপারে বললে তিনি বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যান। এহেন পরিস্থিতে জনাব মোল্লার ছোট ভাই মৃত্যু প্রায় অসুস্থ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়ায় নেয়া জরুরী হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে জনাব মোল্লা গত ৬ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখ স্বদেশ ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে ওভার টেলিফোন ও লিখিতভাবে ছুটি এবং কোম্পানি কর্তৃক NOC নিয়ে তিনি তার ছোট ভাইয়ের চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে গমন করেন। ৬ই নভেম্বর ০৫ (পাঁচ) দিনের ছুটি গ্রহণ করে ৮ নভেম্বর ভারতের গমন করেন। জনাব মোল্লার ভাইয়ের চিকিৎসা শংকটাপন্ন থাকায় ১৩ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখ কোম্পানির চেয়ারম্যান বরাবর আরো ০৩ (তিন) দিনের ছুটি চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। জনাব মোল্লা যথারীতি ছুটি শেষে ১৮ ই নভেম্বর দেশে ফিরে ১৯ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ কোম্পানিতে সিইও হিসেবে তার যথারীতি দায়িত্ব পালনের জন্য অফিসে গমন করেন। অফিসে আসার পরে জনাব মোল্লাকে অবহিত করা হয় যে ৭ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে অনুষ্ঠিত একটি বোর্ড মিটিং এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে যে চিঠিটি চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত ১১.১১.২০২৩ইং তারিখ অর্থাৎ জনাব জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা কোম্পানির চেয়ারম্যান থেকে লিখিতভাবে ছুটি গ্রহণ করে ছুটিতে থাকা অবস্থাতেই (অর্থাৎ ছুটি গ্রহণ করার একদিন পরেই) কোন প্রকারের কারণ দর্শানো ছাড়াই তাকে চাকরিচ করা হয়, যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের আর্টিকেল ১০২ (২) (এ) (i) ও (Ii) এবং বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ৮০ এর উপধারা ১ ও ২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
জনাব মোল্লা বিষয়টি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মাননীয় চেয়ারম্যান বরাবর তার চাকুরীর পুনর্বহল ও ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় ২০-১১-২০২৩ইং তারিখ একটি আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষের নিকট কোন আবেদন করা হলে ১৫ দিনের ভিতরে সেটা সুরাহা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু জনাব জাহাঙ্গীর আলম মোল্লার ২০-১১-২৩ইং তারিখের আবেদনের ১৫ দিন অতিক্রম করার পরে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং – ১৬৩৯৫/২৩ দায়ের করেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখ মহামান্য হাইকোর্ট উক্ত রিট পিটিশনের উপর বিশদ আলোচনা করে স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান কর্তৃক জনাব জাহাঙ্গীর আলম মোল্লাকে ১১-১১-২০২৩ইং তারিখে প্রদানকৃত চিঠিটি চূড়ান্তভাবে স্থগিত করেন এবং জনাব জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা কে স্বদেশ ইসলামী লাইফের সিইও হিসেবে তার চাকরিতে ঐ একই তারিখ (১১.১১.২৩) থেকে বহাল করেন। পাশাপাশি মহামান্য হাইকোর্ট, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে একটি রুল জারি করেন এই মর্মে যে, জনাব জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা গত ২০.১১.২০২৩ইং তারিখে ন্যায় বিচারের আশায় যে আবেদন করেছে তার আলোকে ত্রিশ দিনের মধ্যে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য। এমতাবস্থায় ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখ জনাব মোল্লা মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক স্বদেশ ইসলামী লাইফের প্রধান কার্যালয় যোগদান করেন। বর্তমানে কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় যারা রয়েছেন তারা নানাভাবে যোগদানের পর থেকে জনাব মোল্লা কে স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে বাধা প্রদান করেন। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে জনাব মোল্লা ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ইং যোগদানের পরে ২১ ডিসেম্বর অফিসে গেলে দেখা যায় যে অফিসের সকল চেম্বারের তালা মারা, মাত্র ২/৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী অফিসে রয়েছে তাদের কাছে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন কোম্পানির চেয়ারম্যান মহোদয়ের নির্দেশে তার লোকজন চেম্বারের তালা মেরে চেয়ারম্যান মহোদয়ের গুলশানের ব্যাক্তিগত অফিসে চলে গেছেন ( যা মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন) জনাব মোল্লা মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে যোগদান পত্র ডেসপাস করে তার কপি কোম্পানির চেয়ারম্যান কে হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমেও প্রেরণ করেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান জনাব মাকসুদুর রহমান মহামান্য হাইকোর্টের অর্ডার পাওয়ার পরেও হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়ে জনাব জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা কে অফিসে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন ( ইহাও মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন)। এ বিষয়ে স্বদেশের চেয়ারম্যান কে মুঠো ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে জনাব জাহাঙ্গীর আলম মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে, আমার চেয়ারম্যান স্যার কে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অফিশিয়ালি এবং আমি নিজে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রেরণ করেছি। আমি আশা করি কোম্পানির চেয়ারম্যান মহোদয় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক আমাকে সিইও হিসেবে কাজ করার পরিবেশ ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করিবেন, অন্যথায় আইন ও বিধি মোতাবেক আমি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করিবো। জনাব মোল্লা আরো বলেন ইখতিয়ার উদ্দিন শাহিন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক এখন আর স্বদেশের কেহ না। সুতরাং তার সাথে কোম্পানি সংক্রান্ত কোন লেনদেন না করার জন্য সকলকে বলা হলো, এরপরও যদি কেহ করে সেটা তার নিজ দায়িত্বে করবেন।