সিরাজগঞ্জের ট্রেনের ধাক্কায় বর-কনেসহ নিহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়ে মাইক্রোবাস। এই ঘটনায় বর-কনেসহ ১০ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিনজন।

সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রশী ইউনিয়নের সলপ হাটখোলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে উল্লাপাড়া ফায়ার স্টেশনের ফায়ার লিডার নাজির হোসেন জানান।

নিহতরা হলেন উত্তর কান্দাপাড়ার আলতাফ হোসেনের ছেলে বর রাজন শেখ (২২), তার নববিবাহিতা স্ত্রী উল্লাপাড়া গুচ্ছগ্রামের সুমাইয়া (১৮), বরের মামাত ভাই আলিক (১০), মাইক্রোবাসের চালক কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল এলাকার মন্টু শেখের ছেলে স্বাধীন (৩০), বরযাত্রী শহরের রামগাতি মহল্লার আব্দুল মতির ছেলে আব্দুস সামাদ (৫০), তার ছেলে শাকিল (২০), মমতা খাতুন (৩৫), নূর আল (৩৫), কালিয়া হরিপুর চুনিয়াহাটির মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ভাষা সেখ (৫৫) ও শহরের সয়াধানগড়া মহল্লার সুরুত আলীর ছেলে আব্দুল আহাদ (২৫)।

আহতদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ শহরের রায়পুর মহল্লার মুসা সেখের ছেলে সুমনকে (২৫) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর নাজমুল আহসান নামে একজনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাজির হোসেন বলেন, রাজশাহী থেকে আন্তঃনগর পদ্মা এক্সপ্রেস ঢাকা যাচ্ছিল। এ সময় রেল ক্রসিংয়ে উঠে পড়া বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় দুইশ গজ ঠেলে নিয়ে যায় ট্রেনটি।
“পরে মাইক্রোবাসটি লাইন থেকে সরানোর পর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।”

উল্লাপড়া থানার ওসি দেওয়ান কৌশিক আহমেদ বলেন, উল্লাপাড়ার গুচ্ছগ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। সেখান থেকে বরযাত্রীদের নিয়ে মাইক্রোবাসটি সদরের উত্তরকান্দাপাড়া গ্রামে ফিরছিল। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে আটজন নিহত হন। দুজনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে।

লাশ উদ্ধারের পর রাতে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি কৌশিক জানান।

সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রোকনউজ্জামান বলেন, মৃত ভাষা শেখসহ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে আব্দুল আহাদ মারা যান।

“আহতদের মধ্যে সুমনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নাজমুল আহসান নামে একজন অচেতন অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।